(একাত্তরের শহীদ গৌরচন্দ্র ঘোষের স্মৃতির উদ্দেশ্যে)
বন্ধু আমার! ক্ষমা করো,তোমার রক্তঋণ শোধ করতে পারলাম না।
পাকবাহিনীর বুলেট তোমার বুকটাকে ছিন্নভিন্ন করে
রক্তে ভিজে গিয়েছিল চুড়ামনকাটির ভৈরব নদের পাড়ের সবুজ ঘাস ;আজও সাক্ষ্য দেয় সেদিনের তোমার রক্তস্নানকে।
কিন্ত আমরা তোমাকে মনে রাখিনি,ভেবে দেখিনি তিরিশ লক্ষ শহীদের মধ্যে তুমিও একজন।
চুড়ামনকাটির মাটিতে এখনো তোমার রক্তের বিন্দু বিন্দু দাগ লেগে আছে,কিন্তু কোথাও নেই তোমার নামে কোন স্মৃতিফলক!আমরা তোমাদের রক্তের দাম দিতে জানি না।
বন্ধু আমার! এখন এখানে কেউ তোমাকে চেনে না,দুর্দিনে তুমি আমার অন্ন ও আশ্রয়দাতাও ছিলে বটে, কী অকৃতজ্ঞ আমি!
বন্ধু আমার! তুমি এমএম কলেজের শিক্ষার্থী হয়েও বাগডাঙ্গার তথাকথিত অচ্ছুত মানুষগুলো একদিন চিনতো তোমাকে তাদের আপনজন বলে,
তুমি তাদেরকে বিনামূল্যে রোগব্যাধিতে ওষুধ বিতরণ করতে, আজ ওরাও আমারই মত তোমাকে ভুলে গেছে।
বন্ধু আমার! ক্ষমা করো।
অনুতাপের দগ্ধ প্রাণের দু 'ফোঁটা অশ্রু বিন্দু শুধুই রইলো তোমার স্মৃতির উদ্দেশ্যে।
মনোজিৎকুমার দাস , কবি ও কথাসাহিত্যিক।
লাঙ্গলবাঁধ, মাগুরা।