চারিদিকে সাদা সাদা কুয়াশার ধোঁয়া
মিঠে মিঠে রোদ এসে গায়ে দেয় ছোঁয়া,
সকালে খেজুর গাছে রসে ভরা হাড়ি
শীতে কাঁপি থর্ থর্ তবুও নাহি ছাড়ি,
ভাপ ওঠা ভাপা পিঠা গরম গরম
খেতে লাগে মজা বেশ! সুস্বাদু চরম।
সকালে শিশির কণা জমে থাকে ঘাসে
সোনা ঝরা রোদ পেয়ে যেন তারা হাসে,
প্রজাপতি উড়ে গিয়ে বসে ফুলে ফুলে
পাখিরাও ডালে ডালে নাচে হেলে দুলে,
মৌমাছি ফুল বনে যায় মধু লুটতে
অনেকে দেরি করে ঘুম থেকে উঠতে।
সারা দিন থাকে হিম, কাঁপে হাত-পা
কনকনে শীত সারা জড়িয়ে রয় গা,
বুড়া-বুড়ি কাঁথা মুড়ি দিয়ে থাকে শুয়ে
শিশিরেরা রোজ এসে দেয় ঘাস ধুয়ে,
মাঝে মাঝে কুয়াশায় ঢেকে থাকে সূর্য
মনে হয় রেগে মেগে মারি গিয়ে গুর্জ।
শীত থেকে বেঁচে থাকা সকলের চেষ্টা
সারা দেহ ঢেকে রাখে বাকি রয় ফেসটা,
গুড়ি গুড়ি হিম বুড়ি ঝরে পরে গ্রামে
খড়কুটা জ্বলে তাই- নাহি থাকে বিরামে,
আমাদের দেশে শীত আসে পৌষ মাঘে
শীত দেখে পালোয়ান! ভয়ে সেও ভাগে।
লেখক: মুহাম্মদ নূর ইসলাম
ঠিকানা: খাগড়বাড়িয়া, হরিপুর, বাউসা, বাঘা, রাজশাহী।