ওম ভাঙ্গা সাজের প্রথম প্রহরে
শিশির ভেজা বড়ই পাতার সবুজের শহরে!
কুটি ফুলে দুলে-দুলে উড়ে বেড়ার হাজারে,
মৌমাছি,ভ্রমড়,পোকা,ফড়িং নানা প্রজাপতি।
মাথা ধরা মৌ-মৌ গন্ধ, নানান সাজেতে
সাজের ডালা সাজিয়ে প্রকৃতি নির্বাক দাড়িঁয়ে!
উপহার দেয় প্রতিটি ক্ষণে,স্নিগ্ধ রুপ ছড়ায়ে,
সবুজের ডগায় মুক্তোর নুড়ি
বেড়ায় খুঁজে মুক্ত সুখ,
চরণে চুমায়ে!
নগ্নতায় নাচে শিউলি,গাঁদা চন্দ্রমল্লিকারা,
উমকে উপেক্ষা করে ওশের পরশে,
বড়ই,আমলকী পাই শিশিরের আয়োজনে-
জিভে জল দাঁতে খিল তবু চাই জলপাই।
কাটা গাছের গা চিড়ে বেয়ে পড়ে
চুইয়ে-চুইয়ে মাতাল রস মাটির পাতিলায়।
শুক্ল পক্ষ ডাকছে আমায়
ধোঁয়াশা সাজের মায়ায়!
নিশ্চুপ ভোরে পক্ষির কোলাহলে
হলদে সর্ষে ডাকে ঝাঁঝ মাখা ঘ্রাণ নিতে।
খালি পায় দলে দিয়ে যা শীতল ভূস্বামীর নিকুঞ্জে!
মর্ম ব্যাথা ধুয়ে যাক শিশির কনিকায়।
উনুনের চারিপাশ কয়লার মৃদু আঁচে
তাপ নেয় উদলা শিশু,গুটিশুটি ভাঁজে।
চোখে-মুখে ক্লান্তি,সর্দীর ছাপ গালেতে,
গেরস্তের মোরগ ডাকে কুক্কুরু কু।
গোয়ালের গরুর গায়ে বস্তার সোয়েটার ও-
নেড়ার নেতা নেতা বাস নাকে লাগে নোনতা।
নুয়ে নুয়ে ছড়ায় উষ্ণ রোদে চঞ্চল চাষীরা,
ঘোরে ঘোরে নেড়া মাড়ায় বলদেরা,
পাজুন নেড়ে হুহ্ হাহ্ হাঁকিয়ে ঘুড়িয়ে দাদা।
নবান্নের আয়োজনে পিঠে-পুলি,পুড় ভরা দুধ পুলি!
মমতায় ধোঁয়া উঠা নতুন ভাত,মটকা ভরা চাল,
এইতো মজার শীত দাপিয়ে বেড়ায়
শহর,নগর,গ্রাম,বাংলা জুড়ে,
তা দেখে চোখ,মন যে জুড়ায়।
নাম:শাহিনুর পারভীন
জেলা:নরসিংদী সদর