পৌষালি শীত
চারিদিকে কুয়াশার আধিপত্য
কখনো ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়া
যেনো মরার উপর খাঁড়ার ঘা
বিপর্যস্ত জনজীবন, অসহায় মানুষ
এক নিদারুণ মর্মব্যথা
অনেকেই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন
তা সত্ত্বেও, প্রকৃতির বৈশিষ্ট্যে ব্যত্যয় ঘটে না
কনকনে ঠাণ্ডায় শরীরের রক্ত সঞ্চালন ব্যহত হয়
রক্তিম নাকের ডগা এবং হাত-পা’র আঙ্গুলগুলো অনুভূতিহীন
অচৈতন্য নীলাভ কর্ণ-লতা
অক্ষিপল্লবে জমে থাকা শিশিরবিন্দু ঝরে পড়ে
তবে কি, আনন্দের অশ্রুধারা
হয়তো ঈশ্বরের কৃপা
কিংবা প্রকৃতির আশীর্বাদ ।
না-কি প্রতিশোধ, কে জানে?
শীতল অপরাহ্ন
প্রেয়সীর ভালোবাসা, মার্জিত-নম্র স্পর্শ এবং উষ্ণতার অপেক্ষায়
এখানে আছে স্বর্গসুখ আর এক ঐশ্বরিক শক্তি
কুয়াশার ফাঁক গলিয়ে সূর্যের এক চিলতে হাসি
নির্বাক বসে আছি
নিজ আত্মার কাছে শত জিজ্ঞাসা
জটিল হিসাবনিকাশ
এ মনভূমিতে স্বপ্ন এবং প্রত্যাশার বীজ অঙ্কুরিত হয়
আগামীর হাতছানি
কিন্তু ধৈর্যহীনতা, নৈরাশা এবং দুর্ভাগ্য তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী
দুটি ভিন্ন মেরুতে পক্ষ-বিপক্ষের অবস্থান
প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির তীব্র প্রতিযোগিতা
এক অদৃশ্য-দৃশ্যমান প্রতিকূলতা
তবুও, এরা দ্বৈরথে অবতীর্ণ
কে প্রতিষ্ঠিত হবে?