ঠিক তেমন প্রেমের শুরুটাও হয় শীতকালের সকাল বেলার কুসুমকোমল রৌদ্রের মতন সুন্দর।
হাড় কাঁপানো মাঘের শীতের শেষে
প্রকৃতিতে ধরা দেয় নব ঋতু,
যাকে বলা হয় ঋতুরাজ বসন্ত।
নব্য প্রেমিক প্রেমিকাদের প্রেমও হাতছানি দেয় ঋতুরাজ বসন্তর মতন রঙিন হয়ে।
বসন্তের নব স্পর্শে প্রাণ ফিরে পায় প্রকৃতির অমায়িক সৌন্দর্য,
কোকিল ডাকে,ফুল ফোটে;
আর সেই ফুটন্ত ফুল থেকে ভ্রমররা মধু সংগ্রহ করে,
প্রাণের সঞ্চার করে।
নব প্রেমেও নব স্পর্শে প্রেমিক প্রেমিকারাও সেই ফুটন্ত বাগানে
উড়ন্ত মৌমাছির ন্যায় প্রাণের স্পন্দন জাগিয়ে তোলে।
বসন্ত চলে যায়,ফুটন্ত ফুল গুলো ঝরে যায়,
মৌমাছিরাও ফিরে যায় তার আপন আলয়ে।
প্রেমিক-প্রেমিকারাও একটা সময় শেষে
ঠিক বসন্তের মৌমাছির মতন ফিরে যায়।
চৈত্রের দুপুরে যখন উদীয়মান সূর্য ভরা দুপুরে মাথার ওপর প্রখর তাপ দেয়,
প্রেমও ঠিক তেমন কিছু সময় উষ্ণতা দেওয়ার পরে হৃদয় পোড়ানো কষ্ট দেয়।
চৈত্রের দুপুরের রোদ আর প্রেমের মধ্যভাগ একইভাবে তাপ দেয়
কিন্তু তবুও কিছু মানুষ থেকে যায়।
শেষ বিকেলের রোদ যখন পশ্চিম গগণে অস্ত যায়,
যেমন এঁকে যায় মানুষের হৃদয়ে তার প্রখরতার ছাপ,
তেমনই মানুষের প্রেমর শেষাংশে রয়ে যায় বেদনা দগ্ধ ছাপ।
এতে কেউ বা মরে যায় আবার কেউবা আধমরা হয়ে বেঁচে থাকে।
তীব্র দাবদাহের পরে সন্ধ্যা নামার ঠিক আগ মূহুর্তে আমরা সুন্দর একটি গোধূলির সাক্ষী হই,
কারো কারো প্রেমও ঠিক গোধূলির ন্যায় সুন্দরও রক্তিম হয়,
বিরহ বেদনা যাই থাকুক তবুও প্রেম সুন্দর হয়।
কিন্তু যাদের হৃদয় একবারেই পুরে যায় তাদের?
ঠিক সেই কাঠফাঁটা রোদে জীববৈচিত্র্যের মতন হাহাকার।