ঐ দ্যাখো বাহে নদীর মধ্য দিয়া
সারি সারি কচুরিপানা ভাসি যায়
মোর স্বপ্ন ভাসি যায়।
টিনের চাল, কাঠের ঢেঁকি, ধানের গোলা
মরা গরু ভাসি যায়
মোর স্বপ্ন ভাসি যায়।
বিশ্বাস কি হয়না বাহে?
এই রাক্ষসী নদী গিলি খাইছে
মোর বাপ দাদার ভিটামাটি
গরু মহিষ, সুপারির বাগান
মোর গাবুর বয়েসী বেটির চোখের স্বপ্ন!
গ্রামের পর গ্রাম, বটতলার হাট
মসজিদ, মন্দির সউগ এই ক্ষুধার্ত নদীর প্যাটোৎ।
এলাও চোখ মুজিলে মুঁই দেখিবারে পাঁও
ফসলের মাঠ, কৃষকের হাসি
লাঙ্গলের চকচকা ফলা।
দেখিবারে পাঁও মোর
সোনা বউয়ের হাসি ভরা মুখ, চেনা চেনা সুখ।
এলাও কান পাতিলে মুঁই শুনিবারে পাঁও
গরুর পায়ের খুরের ঠকঠক শব্দ
গাড়িয়ালী হাঁক ডাক-
আইসো বাহে...
গাড়ি ধরি চিলমারী যাই।
নদীর পাড়ভাঙা শব্দে মোর ঘুম ভাঙি যায়
ক্ষ্যাপাটে নদীর গর্জনে মোর স্বপ্ন লুট হয়।
ফির যদি ধরলা নদীর বুকে
মোর একটুকরা জমি ভাসি ওঠে
এই ধু-ধু বালুচরে ফির যদি পলিমাটি পড়ে
মুঁই আবার লাঙ্গল জোঁয়াল নিয়া
বিয়ানে উঠিয়া হাল ধরি যাইম,
ধান পাট বুনিম মোর পলিপরা ভূঁইয়ে ।
মুঁই আবার গরুর গাড়ি কিনিম
গরুর গাড়ি ধরিয়া মুঁই
আবার যাইম চিলমারীর বন্দর,
হাট থাকি কিনিয়া আনিম মুঁই ফুলতোলা শাড়ী
মোর সোনা বউয়ের বাদে।