আরে! বীথিকা যে
খবর কি? ভালো তো?
চলছে কেমন? কতদিন পরে
দেখা যে?
ঐ একটু দূরের ঐ টাকলা করে
উনি বুঝি তোমার বর?
ভুড়ি ওয়ালা আর গোঁফওয়ালা
বাচ্চা একটা গলে দিব্যি ঝুলে
আর একটা কাঁধে চুল ধরে টানে
এদিক-ওদিক দিব্যি চাহনি
উনি কি তোমার বাতি ঘর?
কপাল তোমার বড্ড বেজায়
আমার মত আটকপালে জোটেনি
জুটলে তবে বুঝতে ঠ্যালা
বাপ-মায়ের আর বোনের গুতা
বেকার শরীরে হর হামেশা
ঠোকায় তিন বেলায়।
তুমি আর আমি কতটা পথ চলেছি!
মাসির বাড়ি, পিসির বাড়ি
কত বিছানায় গড়াগড়ি
লোক লুকিয়ে মুখ লুকিয়ে
দিব্যি ঘুরে বেড়িয়েছি।
তোমার আম্মা মানে মাসি মা
খুশি কি এখন সে?
তার কত্ত সখ ছিলো
তোমারে সে বিয়া দিব
দেইখ্যা লাল দালানের কোঠা।
তোমার বিয়া হয়েই গেলো
শুনলে না আমার কথা।
আমি শালার ভালোই আছি
প্রতিদিনই সাবান মাখি
সাথে শ্যাম্পু ষোলোআনা।
প্রথম ক'দিন কষ্ট হলো
শোকের আচার-অনুষ্ঠান পালন হলো
এই দিনে সিগারেট দশেক
বন্ধুদের থেকে এলো।
আমি দিব্যি একের পর একে আগুন ধরাতাম
আর ধোয়া উড়াতাম
তোমাকে ভোলার চেষ্টা করতাম।
কিন্তু দিন যত যায় ব্যাথা বাড়তেই থাকে
বুকটা নড়বড়েই রয় যে।
তারপর একদিন হঠাৎ করে
পিসির মেয়ে এসে বলে জাপটে ধরে
নাম ধরে ডেকে বলে মিষ্টি করে
প্রেম হবে কী তার সাথে?
আমি কিছুদিন না করলাম
তারপর একদিন রাজি হলাম।
ওমা! তারপর দেখি প্রেম জমলো
সে প্রেম আবার প্রথম প্রেমের মতই মনে হলো।
পিসির মেয়ের সাথেও মনে হয়না ঘর হবে!
সব বন্ধ। কোনো পরীক্ষা নেই
বিজ্ঞপ্তি নেই আমার বেকার দশার কি হবে?
তবে সবাই বলছে 'লকডাউন' নাকি খুলে যাবে
আমার ঝুলে থাকা চাকরীগুলোর যে কোনো একটা
এইবার আমার হবেই হবে।
তো বীথিকা ভালো থাকো
আবার দেখা হবে।