পাঠ আলোচনা- সত্য, সাদ্দাম হোসেন ও 'স্রাজেরদৌলা' ।। নাহিদুল ইসলাম

 

সাম্রাজ্যবাদ শব্দটা আমাদের মত সাধারণ মানুষের কাছে ডালভাত; ধনতন্ত্র, পুঁজিবাদ ইত্যাদি আমাদের আলোড়িত করতে পারে না, বহুদূরের অলীক কল্পনা মনে হয় এইসব শব্দবন্ধ। সাদ্দাম হোসেনের একনায়কত্বকে কাঠগড়ায় তুলে ইরাকে সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন পরাশক্তির হামলাকে সিদ্ধ করে নেয়া হয়েছিল। মার্কিন সামরিক আগ্রাসন ইরাককে ভেঙেচুরে দিয়েছে, আর পশ্চিমা প্রচারমাধ্যম সাদ্দাম হোসেনকে একনায়ক হিসেবে বিশ্বের সামনে তুলে ধরে সেই আগ্রাসনকে সন্ত্রাসের বিরূদ্ধে যুদ্ধ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। সত্য, সাদ্দাম হোসেন ও ‘স্রাজেরদৌলা'  বইয়ে সলিমুল্লাহ খান মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস আমল করে বাংলার ইতিহাসের সাথে তার যোগসূত্র ঘটিয়ে বলতে চাচ্ছেন, রাজনীতিটা অন্য জায়গায়। 

১৯৩২ সালে সাম্রাজ্যবাদের হাত থেকে স্বাধীনতা পায় ইরাক। তারপর থেকেই আরব জাতির সকল রাষ্ট্রের একতার দাবি উঠতে থাকে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে, এই দাবিকেই বলা হয় আরব জাতীয়তাবাদ। 

কোন মধ্যমণি রাষ্ট্রের নেতৃত্ব ব্যতিত সমস্ত আরবদেশ এক করিবে কে? ১৯৩০ দশকের মধ্যভাগ নাগাদ আরব জাতীয়তাবাদীগণ এই প্রশ্ন উঠাইয়াছিলেন। উত্তরে সকলেই প্রস্তাব করিতেছিলেন- এই কাজের একমাত্র যোগ্য নায়ক ইরাক। (খান: ২০০৬)  

এই জাতিগত একতার আকাঙ্ক্ষা ইরাক রাষ্ট্রকে ঘীরে সাদ্দাম হোসেনকে অবলম্বন করে পুঞ্জিভূত হয়ে উঠেছিল। আমেরিকার ঘাটিরাষ্ট্র এসরায়েলের সামনে আরব শক্তির পক্ষেও লড়েছেন সাদ্দাম। সাদ্দামের আরব বাথ পার্টি ক্ষমতায় এসেই সাম্রাজ্যবাদী সেন্টো চুক্তি বাতিল করেছিল। সাম্রাজ্যবাদ সেই জাতিগত আকঙ্ক্ষাকেই প্রতিহত করেছে একনায়ক সাদ্দামকে হত্যার মাধ্যমে। সাদ্দাম হোসেনের আরব জাতীয়তাবাদ বা সাম্রাজ্যবাদবিরোধী রাজনীতিই সাদ্দাম হত্যার কারণ, নিছক একনায়কত্ব নয়। 

২০০৩ সালে মার্কিন সামরিক শক্তি সেই মধ্যমণি দখল করে একতাবদ্ধ আরব আকাঙ্ক্ষাকে আপাত বিলম্বিত করেছে মাত্র। তারা দাসত্বের নাম দিয়েছে স্বাধীনতা, ইরাকের জনগণকে একনায়কত্বের কব্জা থেকে মুক্ত করে স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়ার মোড়কে হয়েছে এই হামলা। 

১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধ নামে বাংলাদেশে যে একখানা যুদ্ধ হয়েছিল, সেই যুদ্ধের সিদ্ধিলাভের পেছনে ইংরেজদের যুক্তিও ছিল এরকম। সিরাজুদ্দৌলা নামে যে নবাবকে উপনিবেশিক শক্তি হত্যা করেছিল, যাকে কোথাও কোথাও স্রাজেরদৌলা নামে লেখা হত, তার নিষ্ঠুর শাসনের নিপীড়ন থেকে জনগণকে মুক্ত করতেই নাকি সেই যুদ্ধ করতে ইংরেজরা বাধ্য হয়েছিল। সিরাজুদ্দৌলার বিরূদ্ধে অভিযোগের শেষ ছিল না। সলিমুল্লাহ খানের বইতে ইতিহাস থেকে অন্তত তিনটি গুরুতর অভিযোগের হদিস হাজির আছে। সিরাজুদ্দৌল্লা নিষ্ঠুর শাসক ছিল, ফরাসিদের সাথে ইংরেজবিরোধী আঁতাত করেছিল সে যার ফলে আলিনগর সন্ধি বাতিলের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তার ত্রাসে প্রজাদের জীবন ছিল বিপন্ন ও যেকোন সময় বাঙালিরা বিপ্লব ঘটিয়ে দিতে পারে- এসকল প্রচারপ্রচারণাকেই বেছে নিয়েছিল ইংরেজ শাসকগোষ্ঠী, মদদপুষ্ট বেনিয়াগোষ্ঠী ও ইতিহাসবিদেরা। তাদের মতে সিরাজ ছিলেন মদে আসক্ত, ধর্ষক ও হত্যাকারী। 

মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম উপনিবেশিক যুদ্ধ হয়েছিল আমাদের ১৭৫৭ যুদ্ধেরও পরে। ফ্রান্সের মহান(!) সেনাপতি নেপোলিয়ন বোনাপার্ত ১৭৯৮ সালে প্রথম মিসরে হামলা করে। নেপোলিয়নের হামলার যুক্তিও এক্ষেত্রে অনুরূপ হবে, এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। সেসময় মামলুক বংশ ছিল মিসরের শাসনক্ষমতায়। মামলুক জালেমদের অপশাসন থেকে মিসরীয় জনগণকে মুক্ত করতে ত্রাণকর্তা হিসেবে হাজির হয়েছিলেন বোনাপার্ত! এই ঘটনাকে ইউরোপের জ্ঞানীগুণী সমাজ মধ্যপ্রাচ্যের সামনে আধুনিক যুগের দরজা খুলে যাওয়ার যুগ বলে বাহবা দেন। 

মূলত মিসরে ফরাসি সওদাগরদের আগ্রাসনের বিপক্ষে মামলুকেরা ছিল অতিশয় খড়্গহস্ত। আমাদের এখানে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ছিল! 

কিন্তু মিসরে ফরাসি সে আগ্রাসন সফল হয়নি, মামলুকেরা পরাজিত হলেও একসময় সর্বসাধারণ মরণপণ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তিন বছর পর, জনসাধারণের সর্বব্যাপী প্রতিরোধের সামনে ১৮০১ সালে মিসর ছাড়তে বাধ্য হয় ফরাসি হানাদারবাহিনী। বাঙলায় এজাতীয় জনযুদ্ধ সম্ভব হয়নি। বাঙলায় ইংরেজদের পাশাপাশি হিন্দু জমিদার আর মুসলমান ওমরাওগণও সিরাজের বিপক্ষে হাজির ছিলেন।    

সলিমুল্লাহ খান জানাচ্ছেন, ইংরেজ ও ভারতীয় লেখকরা সিরাজকে নিয়ে এইসব অপযশ কীর্তনে লিপ্ত হয় সিয়ারুল মুতাখখারিন, রিয়াজুস সালাতিন, তারিখে বাঙ্গালাহ ইত্যাদি ফারসি ইতিহাসের বই অবলম্বন করে। সিরাজের রক্তসম্পর্কের ঘনিষ্টজন, ইংরেজসহ যাদের বিরূদ্ধেও যুদ্ধ করতে হয়েছিল তাকে, পরবর্তীতে বিজয়ী ইংরেজী রাষ্ট্রের কৃপাধন্য হয়েই এইসব ইতিহাস প্রণয়ন করেছিলেন।

পরবর্তীকালে সিরাজুদ্দৌলাকে নিয়ে যারাই লিখেছেন, অধিকাংশই সিরাজের চরিত্রের এইসব ত্রুটিকেই মূখ্য করে তুলেছেন। এমনকি খোদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইংরেজদের অন্যায় যুদ্ধ সম্পর্কে বলতে গিয়েও সিরাজের চরিত্র ধরে টান দিয়েছেন, লিখেছেন, “সিরাজদ্দৌলা যদিচ উন্নতচরিত্র মহৎ ব্যক্তি ছিলেন না, তথাপি এই দ্বন্দ্বের (যুদ্ধের) হীনতা মিথ্যাচার প্রতারণার উপরে তাঁহার সাহস ও সরলতা, বীর্য ও ক্ষমা, রাজোচিত মহত্ত্বে উজ্জ্বল হইয়া ফুটিয়াছে।" 

সলিমুল্লাহ খান রবীন্দ্রনাথের এই লেখার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন, "আমরা বিনয়ের সঙ্গে বলব, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও বিষয়ে প্রবেশের আগেই বিচারকার্য সমাপ্ত করেছেন। বিষয় সিরাজ চরিত্র নয়, বিষয় বাংলার ইতিহাস, রবীন্দ্রনাথ এই কথা সব সময় স্মরণপথে উদিত রেখেছিলেন বলা যাচ্ছে না।"

অন্যদিকে সিরাজুদ্দৌলাও ইংরেজদের এদেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর হয়ে উঠেছিলেন। অনুমতি না নিয়েই আইন লঙ্ঘন করে বাদশাহের রাজ্যে দুর্গ বানানো, বিনাশুল্কে ব্যবসায়ের অনুমতির অননুমিত ব্যবহার, বাদশাহের সাথে বিশ্বাসঘাতকতাকারীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়া- ইংরেজদের এসকল তৎপরতার বিরূদ্ধে সিরাজ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ১৮৮৫ সালে ইংরেজ ঐতিহাসিক কর্নেল ম্যালিসন বলেছেন, "সিরাজুদ্দৌলার দোষ আর যাই থাকুক, তিনি প্রভুর কাছে দেয়া ওয়াদা ভঙ্গ করেন নাই, কিংবা নিজের দেশও বেঁচে দেন নাই।" কিন্তু সিংহাসনের অন্য ভাগীদারেরা ইংরেজদের সাথেই উলটো আঁতাত করেছিল। ইহাই পরিহাস! ২৩ জুন ১৭৫৭, মির জাফরের পরামর্শে জয়ের মুখে যুদ্ধ বন্ধ করেন সিরাজ! তারপর হারান মসনদ, প্রাণ এবং দেশের স্বাধীনতা। 

কিন্তু যতই নিকটাত্মীয়দের ঘাড়ে দোষ চাপানো হোক না কেন, শেষ বিচারে ইংরেজ উপনিবেশবাদই সিরাজের হত্যাকারী। কারন ইতিহাসে কর্নেল ক্লাইবকে সিরাজহত্যা থেকে দায়মুক্তি দেয়ার ব্যাপক প্রচেষ্টাও আছে। দেখা যাচ্ছে যারাই সিরাজ হত্যা নিয়ে কথা বলছেন, তারাই বলার চেষ্টা করছেন যে এতে ক্লাইবের কোন হাত নেই। চার্লস স্টুয়ার্ট, দীনেশচন্দ্র সেন ও অপরাপর লেখক বীরপুরুষ ক্লাইবের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। কিন্তু সলিমুল্লাহ ক্লাইব সংশ্লিষ্টতার কিছু কিছু হদিস উদ্ধার করেছেন। জগতশেঠ ও ইংরেজসর্দার সিরাজের হত্যাকান্ডের জন্য মীর জাফরকে পরামর্শ দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন রিয়াজুস সালাতীনকার। নিখিলনাথ রায় ১৯৯৬ সালে এই দ্বিধা তুলেছেন। অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় সাহস করে বলেছেন, "কিছুমাত্র সংস্রব না থাকিলে ক্লাইবের দোষক্ষালনের জন্য এরূপ আগ্রহ কেন,-তাহা কিন্ত সবিশেষ কৌতুকবহ।" 

তাহলে দেখা যাচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্য হোক বা ভারতীয় উপমহাদেশ, যেখানেই শাসন পাকাপোক্ত করতে পাশ্চাত্য সভ্যতা যুদ্ধ চালিয়েছে, সেখানেই তারা জনগণের ত্রাণকর্তা রক্ষাকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়ে স্থানীয় অপশাসনের কারাগার থেকে তাদের উদ্ধারের নামেই তা সম্পন্ন করেছে। সলিমুল্লাহ খান- সত্য, সাদ্দাম হোসেন ও ‘স্রাজেরদৌলা' - বইয়ের বিয়োগ অংশের পাঁচটি প্রবন্ধে সাম্রাজ্যবাদের এই বিশেষ দিকটির প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। পাশ্চাত্য সভ্যতা দুনিয়াজুড়ে সন্ত্রাস দমনের নামে যে যুদ্ধ করে তা-ও আদতে সন্ত্রাস।

সলিমুল্লাহ এখানে একনায়কের পক্ষে সাফাই গাচ্ছেন না, তার আলাপের মূলে আছে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসন। সিরাজুদ্দৌলা যদি অসচ্চরিত্র অপশাসক হয়ে থাকেন, ইংরেজদের যুদ্ধটা সিদ্ধ হয়ে যায় কি? তিনি দাবি করছেন, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধের বিরোধীতা করার জন্য একনায়কত্ব অথবা সন্ত্রাসবাদের সমর্থক হওয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন,‘সাদ্দামের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রচার যদি কিছুটা সাচ্চাও হয়, তো মার্কিন যুদ্ধ খানিকটা বৈধতা লাভ করে কিনা।   

এই সন্ত্রাসবাদ ও যুদ্ধবাদ, এদের মধ্যকার সম্পর্ক, পার্থক্য, ভেদ-বিভেদ ইত্যাকার নানা বিষয়বস্তুর ওপর জাক দেরিদা, আলাঁ বাদিয়ু প্রমুখ ফরাসি দার্শনিকের মতামতের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেছেন সলিমুল্লাহ খান এই বইয়ের ভাগ বিভাগে। এই অংশের তিনটি প্রবন্ধে দেরিদার শেষ বয়সে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের পক্ষে সাফাই গাওয়ার কঠোর সমালোচনা করেছেন খান। বাদিয়ুর নীতিকথা  বইয়ের তত্ত্বকথার ওপরেও বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।  

সত্য, সাদ্দাম হোসেন ও ‘স্রাজেরদৌলা’ বইয়ের যোগ অংশে হ্যারল্ড পিন্টারের কিছু কবিতা আর জন নিউসিঙ্গারের টার্জান কাহিনীর বর্ণবাদী বিষয়বস্তু নিয়ে লিখিত একটি প্রবন্ধের অনুবাদ করেছেন সলিমুল্লাহ খান। জনপ্রিয় টার্জান কাহিনীর লেখক এডগার রাইস বারোসের বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনামূলক এই লেখাটিতে টার্জান কেচ্ছার মধ্যে কত গভীরভাবে বর্ণবাদকে চারিয়ে দেয়া হয়েছে সেসবের ওপর বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে। 

ইতিহাস কারখানা গ্রন্থমালার প্রথম খন্ড সত্য, সাদ্দাম হোসেন ও ‘স্রাজেরদৌলা' বইয়ে মূলত ইতিহাসের প্রাসঙ্গিক উপাদানসমূহের গভীরে সংযোগ অনুসন্ধান করে তার আলোকে বর্তমান পৃথিবীর বাস্তবতাকে ব্যাখ্যাবিশ্লেষণ করা হয়েছে। দুনিয়াব্যাপী সাম্রাজ্যবাদী রাজনীতির আগ্রাসন এবং ইতিহাসের এমন যোগসূত্রসন্ধানী লেখাসমূহ পাঠককে আমাদের সমাজ সভ্যতার শত শত বছরের ইতিহাসের মধ্যে নিয়ে গিয়ে সময়ের প্রবহমান বহুবিধ ধারাবিবির্তনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে, পরিষ্কার করে তুলবে আজকের পৃথিবীর চলমান সংকটের স্বরূপগুলোকে। সত্য, সাদ্দাম হোসেন ও ‘স্রাজেরদৌলা'  আমাদের ইতিহাস অনুধাবনের এক শক্তিশালী বয়ান হয়ে থাকবে।  


সূচিতে ফিরতে ক্লিক করুন

Post a Comment

মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।

Previous Post Next Post

আপনিও লেখুন বর্ণপ্রপাতে

ছড়া-কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ( শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, লোকসাহিত্য, সংগীত, চলচ্চিত্র, দর্শন, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সমাজ, বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা ও প্রবন্ধ), উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী, গ্রন্থ ও সাহিত্য পত্রিকার আলোচনা ও সমালোচনা, চিঠি, সাহিত্যের খবর, ফটোগ্রাফি, চিত্রকলা, ভিডিও ইত্যাদি পাঠাতে পারবেন। ইমেইল bornopropat@gmail.com বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ।