মালুমকাষ্ঠ ধরে বসেছে দাঁড়কাক, শ্যামা হাসলো বলে।
বাংলাদেশের কোনো এক সীমান্তবর্তী আকাশ;
মোরা উড়েছি পরস্পর হয়ে এক।
ক্ষুৎপিপাসায় চেয়েছি নিজেদের পানে।
কতিপয় মুহূর্তের আবর্তনে ভেস্তে গেলো মায়া।
সমান্তরাল দুটো ইস্পাতের ফলা,
ঝকাঝক করে ছুটছে বাষ্পশকট।
কখনো আকাশ ছাড়িয়ে,
কখনো বা ভূপৃষ্ট হতে দুয়েকশ হাত অতীতে।
সিন্ধুর পাড় ঘেঁষে থাকা বালুচর,
খররোদ্দুরে অগ্নিশিখার সম্মুখবর্তী হয়ে সারিয়েছে বেদনা।
কখনো বা হিমশীতল সমীরণ গায়ে মেখে হয়েছে বরফ।
প্রেম দিয়ে মৃত্যুকে কাছে ডেকেছি।
এক চিলতে রোদের মত হৃদয়ের একটুখানি প্রেমই পারে
জয় করতে এই পৃথিবী- বিশ্বব্রহ্মাণ্ড।
মৃত্যু আমায় ছুঁয়ে দেখলো না,
ছুঁয়ে দেখলো না আমার যৌবনে উদ্দীপ্ত দেহটা।
একাগ্রচিত্তে চেয়ে রইলো আমার পানে;
আমার দৃষ্টি আটকায় মৃত্যুর চোখে;
এই চোখে ক্রোধ নেই, নেই রোষাগ্নি।
হারাই- ফেরাই নিজেকে- বারংবার হারাতে চাই।
ফুটপাথ, মেটোপথ সবখানে হেঁটেছি,
হেঁটেছি উড়ালসেতু কিংবা নদীর উর্ধ্বে কোনো সড়কে।
সবখানে দেখেছি একটিমাত্র মুখ,
কালের সাক্ষী।
পরিচিত সেই মুখ- আমায় বশ করেছে যে।
তার নাম মৃত্যু, মৃত্যু, মৃত্যু।
সাইফ উল্লাহ
শিক্ষার্থী, ইস্পাহানী পাবলিক কলেজ, চট্টগ্রাম।