তিনজন শাড়িপরা ফর্সা অবিবাহিত যুবতী
আমাকে টানতে টানতে নিয়ে গেল হস্তশিল্প মেলা ।
লাল শাড়ি অঙ্কিতাকে বলি বেতের চেয়ারের ওপর বসবো , ছবি তুলে দে
পারমিতা ও রবিনার হাতে কঠোর প্রমোদ
লোকজন তেমন নেই !
বেতের চেয়ারে আমাদের ছবি তুলে দিল রবিনা
পারমিতা একটু দূরে
কার্শিয়াং থেকে আসা সোয়েটারের দোকানে দাম দেখছে
দশ আঙুল ঠান্ডায় সংযমী
লাঠি হাতে বড় গেটের মুখে কফি বিক্রি করছে সত্তর বছরের বুড়ো ।
আমি প্রশ্ন করি : কার সাথে এসেছ
দাদুর জিভ দেখতে পেলাম না !
পারমিতা অঙ্কিতাকে ডাকছে
রবিনা ছোট ছোট শো - সাইকেলগুলোকে বলে বৈশ্যের বাণিজ্য
চোখে পরে সিমেন্টের ছাউনির নিচে মা শিশুকে দুধ খাওয়াচ্ছে
তিনজনের মুখেই অধিকারী হাসি
চোখে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় মেলার জৈব , অজৈব আলো ।
মাদুরশিল্প ঘুরে
নাইট ল্যাম্পের কমলা রঙে দাঁড়িয়ে আছি
হাতে রাজ্য-শাসনের ভ্যানিটি ব্যাগ ।
রবিনা ওখানে কার সাথে হাসছে
কেউ কি এসেছে ,
দু'জন পরিচিত ?
তিনজন গিয়ে দেখি দোকানের ফুলবিক্রেতার সঙ্গে দামদর করছে
বিড়ালের লোমের গোলাপ কাকে দেবে ?
রবিনা ব্যাগ থেকে বার করে দেয় মোরাম রাস্তা
আমি বাদে অনেক যুবক মেলায় ঘুরছে ওরা তিনজন প্রত্যেকের দিকেই তাকিয়েছে ।
অঙ্কিতাই শুধু কিনলো বেতের পাড়া গাঁ
ফুড কোটে মোমো আর চিকেন ফ্রাইয়ে মজেছে রবিনা - পারমিতা
শনিবার ওর নিরামিষ
অঙ্কিতার জন্য নিয়ে এলাম কফি
বাঁ হাতে তিলটা স্পষ্ট হচ্ছে
তিল হলে কার জয় হয় জানি না ।
অঙ্কিতাকে আত্মা থেকে চুম্বন করতে ইচ্ছে হচ্ছিল
সাদা কাপড়ের উপর পটচিত্র আঁকছে শেফালী কাকিমা
কফির কাপ ফেলে আমার রুমালে ঠোঁট মুছে নেয়
চোখের কাছে একগোছা চুল কানের দিকে সরিয়ে বলে : ঠান্ডা লাগছে , বুকের আঁচলে ঘুরছে গ্রহ-উপগ্রহ ।
রবিনা - পারমিতার হাত ধরে মেলার বাইরে অঙ্কিতা
শুধু হাত না রক্তও হিম
উবারে চাপি
একটা সত্যি অন্ধকারে আমার স্থলজ উদ্ভিদের ওপর হাত রাখলো বি এড ফাইনাল ইয়ার।
(তিনজন শাড়িপরা ফর্সা অবিবাহিত যুবতী ।। শুভদীপ দত্ত প্রামানিক )