শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করি তাঁদের,
বায়ান্ন থেকে আগামী গোধূলি লগ্নে
আজন্ম প্রহর, শতাব্দীর পর শতাব্দী
মহিমান্বিত নিশুতি রজনীতে
স্বয়নে, স্বপনে, জাগরণে
সকল প্রার্থনায়।
শ্রদ্ধাবোধের বিশ্ব খ্যাত ভাষায়
প্রতি একুশে ফেব্রুয়ারিতে
শহীদি মাতৃভাষার জন্য।
স্বরণ করি তাঁদের ,
মিষ্টি মধুর 'মা' ডাকের সময়
যখন ছোট্ট শিশু কেবলই বা-বা, মা-মা বলতে শিখে
দাদা-দাদীর মুখে রুপ কথার গল্প শুনে
ভাটিয়ালি, পল্লীগীতি সুরের মূর্ছনায়
কিশোর-কিশোরীরা যখন অ,আ,ক,খ পড়ে
বউ যখন ভাঙ্গা ভাঙ্গা হতে স্বামীকে পত্র লেখে।
স্বরণ করি তাঁদের,
বাংলা ভাষাকে অগ্রজে লিপিকায়
প্রতি বর্ণকে স্বর্নাক্ষরে রুপান্তরিত করায়
রাস্তার ধারে শহীদ মিনার দেখতে পেলে
বাংলায় কবিতা, গল্প লিখার আনন্দে
মায়ের ভাষাতে কথা বলার অধিকারে।
একুশের জন্ম না হলে
বাংলা ভাষার মৃত্যু হতো।
রাষ্ট্র ভাষার জন্য জীবন দিতে হয়
রাজপথে রক্তের বন্যা বয়
পৃথিবীতে এমন ঘটনা বিরল।
স্বার্থক শহীদ তাঁরা
তাঁদের ত্যাগের বিনিময়ে কিনেছি এ মাতৃভাষা।
আবারও স্বরণ করি তাঁদের
সমগ্র বিশ্বে স্ব-গৌরবে
বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বকৃতিতে।
------------*****------------
আখতারুল ইসলাম খোন্দকার। পিতার নাম: সিরাজ উদ্দীন খোন্দকার মাতার নামঃ মোসাঃ আছিয়া খাতুন। গ্রামঃ- বিদির পুর। পোস্ট অফিসঃ- বসন্ত কেদার, উপজেলাঃ- মোহন পুর, জেলা- রাজশাহী -৬২১০, বাংলাদেশ।
পেশা: কুড়ি বছর যাবত জীবন বীমা কোম্পানির কর্মী ।
প্রকাশিত বই: একক বই প্রকাশিত না হলেও ৬টি যৌথ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।