তোমার ভালোবাসায় মেশানো থাকে খাদ
তোমার ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসি সেও মরণ ফাঁদ
তোমার স্নিগ্ধ চোখের মায়ায় জ্যোৎস্না ফেরে
তোমার দৃষ্টির রহস্যময়তা আমায় বিধ্বস্ত করে
আমি তোমার চোখের সামনে বসে থাকি
আমি তোমার মুখের সামনে বসে থাকি
আমি সারা অঙ্গে সুবাস জড়িয়ে নিয়ে
তোমার হৃদয় সম্মুখে আসন পেতে থাকি
তোমার হৃদয় দেখব বলে
তোমার ভেতরের ‘আমি’টাকে দেখব বলে
অনেক অনেক পরে আমি তোমার মুখ দেখতে পাই
আমি তোমার আদি মুখোশ দেখি
আমি চমকে উঠি তোমার মুখোশ দেখে
আমি আঁতকে উঠি তোমার খোলশ পাল্টানো দেখে
আমি শুধু ভয়ে ভয়ে থাকি
দুধ কলা দিয়ে আগলে আগলে রাখি
আমি তোমার ভেতরের বিষধর সাপটিকে অহরহ দেখি
দ্রিমি দ্রিমি দ্রম দ্রম রক্তে আওয়াজ ওঠে হরদম
ধেরে ধেরে কেটে তাক মরা নদীতে উঠুক ডাক
কে পাঠায় শমন অসময়ে বিধাতার নামে
আঁধার ঘিরে আসে চারিদিক
সে আঁধারে ঢেকে যায় চেতনা প্রদীপ
আকাশ থেকে বিষবৃষ্টি নামে
তবু জানি এ আঁধার ফুরোবে একদিন
স্বপ্নেরা হবে আবার রঙিন
অমাবস্যা একদিকে সরিয়ে দিয়ে তাই আলোর স্বপ্ন দেখি
স্বপ্নগুলো সযতনে হৃদয়ে লুকিয়ে রাখি…
-----------------
কবি পরিচিতিঃ
কমল কুজুর। । উত্তরবঙ্গের দিনাজপুরে। বাংলাদেশের এই তরুণ কবি প্রকৃতি ও মানুষ ভালোবাসেন। তাই তাঁর লেখায় অনবরত উঠে আসে প্রকৃতির কথা, মানুষের কথা। সৃজনশীলতা ও বৈচিত্রের পূজারী এই কবি মানব জীবনের প্রেম, ভালোবাসা , আবেগ ও বিরহ নিয়ে লিখতে পছন্দ করেন। সাপ্তাহিক যায় যায় দিন ও চলতিপত্রে তিনি প্রথম লেখা শুরু করেন। এখন পর্যন্ত প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ একই বৃত্তের কবি, জলফড়িং, কবি ও কবিতা, কবি কন্ঠস্বর, চেতনায় ৭১, রঙিন
প্রজাপতি, অল্প কথার কাব্য , সবুজ সংলাপ, রক্তাক্ত রোহিঙ্গা ও কবিতায় ভালোবাসা। কবি কাব্যশীলন, মাসিক সবুজ সাহিত্য , মাসিক প্রিয় বাংলা ও মাসিক কিশোর শিখায় নিয়মিত লিখে থাকেন।