বৈদিক যুগে সেই ঊষা লগ্নে তোমার মুখ নিঃসৃত শ্রুতি,
তোমার গুরুগৃহে ব্রহ্মচর্য পালনের কালে শৈশবে অতি।
তোমার কোমল স্পর্শে তোমার পিতৃতুল্য লালনে, হে হোতা-
তোমাকেই করেছি আদর্শ তোমার মন্ত্রে হয়ে দীক্ষিত, হে ত্রাতা।
অত্রি, পুলহ, বশিষ্ট, মারীচি, পুলস্ত্য, অঙ্গিরা ও ক্রতু
আজও আকাশগঙ্গা হে সপ্তঋষি তোমাদের আলোয় উদ্ভাসিত।
আমার বেড়ে ওঠা তোমার বেঁধে দেওয়া আলোকিত পথে,
তোমাকেই মেনেছি দিশারী তাই হয়েছি শিক্ষাব্রতি সবার হিতে।
ঐ যারা আজ হিংস্র শ্বাপদের মতো শিক্ষার অঙ্গনে দিয়েছে হানা
তোমার গুরুগৃহে প্রবেশের অপেক্ষায় যত যান্ত্রিকতার যাতনা।
ওরা তোমার আবেগকে দিতে চায় ছুটি শিক্ষাকে করে পন্য,
তুমি কি পারবে বলো মেনে নিতে, যেথায় শিক্ষা হবে বিপন্ন?
একদা যেথায় বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয়ে প্রথম মাতৃবুলি শেখা
রবির আলোয় প্রজ্বলিত করে আপন প্রাণ প্রদীপ শিখা,
দেশ থেকে দেশান্তরে হৃদয়ের আধারে বিলানো শিক্ষার আলো
কিভাবে দেখতে পারি ক্ষয় হতে হে শিক্ষা গুরু, তুমিই বলো?
আর তাই --
আজ এই পুণ্য দিবসে তোমার আবেসে গেঁথেছি শ্রদ্ধায় মালা
হে মহাপ্রাণ তোমায় বরণে আমার কবিতায় সাজিয়েছি অর্ঘডালা।
হে সাধক, হে পবিত্রতম আত্মা, হে চির মহান –
তোমার কর্মযজ্ঞে আজ সকলের হোক নব উত্থান।
চেতনার মিশ্রণে প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের সুদূর বিস্তারে,
ওদের আগামী দিনগুলো জ্ঞানের আলোয় উঠুক ভরে।।
ক্ষমা করো মোরে হে বন্দিত,অজান্তে কখনও
যদি তোমায় করে থাকি অবহেলা।
আমার স্বপ্নে সদা থেকে জাগ্রত তোমার বন্দনায়
ধুয়ে নিতে দাও মনের সব জ্বালা।।
সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ
আমি একজন সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয়ের গণিতের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষক। কম বয়স থেকেই সাহিত্যের প্রতি অসীম অনুরাগ আজ আমাকে সাহিত্যের অঙ্গনে প্রবেশ করতে অনুপ্রাণিত করেছে এবং গত প্রায় এক বছর ধরে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় আমার লেখনি স্থান করে নিয়েছে এবং সেটা সম্পূর্ণ ভাবেই আপনাদের ভালোবাসা এবং আশীর্বাদের ফল।আগামীতে নিজের লেখনি প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে আপনাদের সকলের হৃদয়ে স্থান করে নিতে দৃঢ়প্রতি