বাস করছি ইট-পাথরের প্রাণহীন এক নিথর শহরে। যে শহরে লক্ষ মানবের ভিড়ে চলতে না পারা গেলেও খুঁজে পাওয়া যায়নি মানবতাকে। মুলত সেখানে নাই কোনো মানব-মানবতা, সমাজ-সমাজতা। এ শহর থকে সব বিদায় নিয়ে স্থান পেয়েছে যান্ত্রিকতা। কারণ পশু পাখিও মানবা বুঝে। এ শহর হাহাকার করে মানবতার অভাবে। কিন্তু কোথায় পাবে? সবতো ঢাকা পরেছে ইট পাথরের দেয়ালে, পিচঢালা পথের তলে।
ঐ তো প্রায় মৃত অর্ধ নিহিত ক্ষতেয় জরজরিত পরে আছে। ছোট ছোট দীর্ঘ শ্বাস শোনা যাচ্ছে। কিন্তু কোনো মানব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না যে তাকে রক্ষা করবে।
এই মৃত প্রায় মানবতার হাত শখানেক দূরে পাতাহীন এক নগ্ন গাছের ডালে কিছু হিংস্র ক্ষুধার্ত কাক বসে কাকা করছে। শ্বাসের শব্দের ভয়ে কাছে যাচ্ছে না। আর কিছু শকুন মৃতপ্রায় মানবতার দেহ খুবলে খুবলে খাচ্ছে। কিন্তু কেউ আর এখন শোনে না মানবতার সেই আত্ম চিৎকার। কেউ আর খোঁজে না মানবতাকে যেভাবে কেউ হারানো মুক্তা খোঁজে। বোধহয় কেউ আর চায়না আবারও এই শহরে ফিরে আসুক মানবতা মানুষত্ববোধ।