তবু লিখি, অনৃজু, নক্ত সমাজের ক্ষয়িত শিরদাঁড়ায় ভর করে|
বাসন্তী পিতাম্বর গায়ে মেখে, প্রেমের দুর্বল অশ্রুপাতে প্রবোধী প্রেমিকের মতো|
কঞ্জমসৃত মধু গন্ধ ছড়িয়ে, আমার ঠোঁটে সে এঁকেছিল, বনেদি সংলাপের আভেরি চুম্বন|
আমার লেখায় খুঁজি তাকে, পরাকৃত উষ্ণতায়, বসন্তের অশ্মানী বহ্নিপলাশের মতো|
কার ঘর আলো করে এসেছিল সে, তা জানা নেই|
কার ঘরেই বা জ্বলেছিল, অন্তিম প্রহরের অক্রূর প্রদীপখানি|
শুধু তার শুকতারা ভরা মুখে, দশমিক তিলের ভগ্নাংশে ডুব দিয়েছিলুম,
চৈত্রের শেষ অবীরা আণবিক ঝড়ের মতো|
মনে প্রাণে বুঝেছিলুম, আমি আসলে, সাহারার উদ্বাস্তু যাযাবরের মতো, কল্পনাপ্রবণ|
তবু লিখি, কারণ এই লিখতে পারাটাই আমার, একমাত্র অবলম্বন|
জানি, কোন অমূলদ সংখ্যাই পারে না, উন্নিদ্র রাতে, ফালির মতো চাঁদের বুক থেকে খসে পড়া আঁচলটা, পুরো টেনে সরাতে|
গতিহীন তমসা, আমায় জাপটে ধরে, ডুবতে চাওয়া মরালির মতো|
তবু চতুর্বর্গ এ জীবনে প্রেম আসে, নতুন করে|
হয়তো এই অভিতপ্ত বসন্তেই তার বাসর সাজায়,
চৈতী চাঁদের বিরংসা সাঙ্গ হয়, জীর্ণ হন্বস্থির মাঝে দ্রাক্ষায়িত রুধির সংগমে|
কপর্দ বিনে কিনতে চাওয়া জগৎটা, হঠাৎ এসে ধরা দেয় মুঠোর ভেতর|
সীমন্তপথে যোনিরক্ত মেখে, সে সরে যায় অশরীরি অপলাপে কিংবা অপহাসে|
প্রেম সে তো অদেয় ছিলই, এই বসন্তে হয়তো হিমশৈলও অধরা হল||
ধন্যবাদান্তে,
শাশ্বত বোস
পেশা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার
৩২/৩১, ডাক্তার বাগান লেন
পোস্ট- মল্লিকপাড়া
শ্রীরামপুর,হুগলী
পিন -৭১২২০৩