অভাবের সংসার
সংসারের ভিত্তিও দ্যাখ, কেন্দেলিসে ঘর-বাড়ি!
প্যাটের ভোকে পরান যায়– জিনিসের যা দাম
বুঝিয়াও কেনে বুঝিস না তুই উঠেছে ছাল-চাম!
একটা মানষি কাজ করোং, কয়টা মানষি খাই?
সপ্তার শ্যাষে দ্যাখোং পকেট, একটা টাকাও নাই!
লিসের জমিত পাটা করিলুং করিয়া কত ঋণ
পাটারও বোলে দামে নাই– শুনোং ব্যাচের দিন!
পয়লা বৈশাখের শাড়ি দিয়া এবার ঘুরেক পূজা
টানিটুনি চলেছে সংসার– পাছিত না নাই বুঝা?
আগুরি-ভাগুরি করিলুং কবি জমি বন্দক নিয়া
কবি ব্যাচেয়া শাড়ি কিনি দিম ধূপগুড়ি হাট যায়া।
সেই শাড়ি পিন্দিয়া তুই লাইটিং দেখির যাইস
সাথে একশো টাকাও দিম– ইচ্ছা মতন খাইস।
ওংকরিয়া তাও তুই মোক খ্যাচ-খ্যাচে না নইস
যেলায়-সেলায় না-মরদ, কুরিয়া-কুষ্ট না কইস!
কথা দিলুং পরের বছর আগুরি-ভাগুরি কিনিস
গয়না-গাটি, শাড়ি-ছায়া, মন পছন্দের জিনিস।
আর একবার
সাথী,
পুরানা কথা ছাড়
আজি-- আর একবার
মনে মনে মিলাই মন
ভুলি যায়া পুরানা দ্বন;
আর আপত্তি করিস না
নিন্দুকের কথাও ধরিস না
উমুরা ফেলাবে পচানি ঢালোত
আর না হলে সাপের খালোত!
মোর ভুলটা মুই বুঝিসুং
সংশোধনের উপায়ও খুঁজিসুং;
তোর দোষটা ছাড়ি দিয়া--
মোর গাতে সব ন্যাটপ্যাটে নিলুং।
তাও সম্পর্কটার রাখেক মান
তুই মোর জোনাকী সাথী
মুই তোর পূণ্যিমার চাঁন।
তারিখ: ০৪.১২.২০১৯