আর কোনো চাওয়া নয় তোমার কাছে
শুধু; এক, শেষ অপরাধের পূর্ব ক্ষমার যাচনা;
যখন আমি পৃথিবী ও তোমার মায়া থেকে দূরে
নিয়ন্ত্রণহীন, কর্মফল পাওয়া পথের সন্ধানে ধাববান
অনিয়ন্ত্রিত, অবচেতন, মুমুর্ষু মৃত্যু শয্যায় শায়িত—
কভু যদি উচ্চারিত করে তোমার নাম; মায়া বা ভালোবাসায়
একটু খুঁজে ‘পায়’ সুখের পরশ, তোমার ভাবনায়
আমার সে অসহায়, অচেতন কিংবা অবচেতন বিদায়ী আত্মা;
কিংবা পুনরায় আঘাতে জর্জরিত কোরে তোমার স্বপ্নের ঘর
প্রশ্নবিদ্ধ কোরে তোলে, তাদের সন্দেহ-হত অন্তর,
অভিমান ভোরে তোলে তোমার বিশ্বস্ত প্রেমিকের মনে;
কিংবা তোমায় নিয়ে অতৃপ্ত কোনো অপূর্ণ সুখের চেতনা
অবচেতন উচ্চারণে, বেদনায় ভরে তোমার ঘৃণাকারী হৃদয়,
কিংবা তোমার প্রতি কোনো সুপ্ত বা ভুল অভিমান অভিযোগে
আঘাতকারী কোনো শব্দ দেয় আরেকটিবার তোমায় যন্ত্রণা,
কিংবা তোমায় ভেবে মন জুরানো আনন্দে হেসে ফেলে
সেদিন যদি সেও জাগায় তোমার বুকে কষ্টের আঘাত
আজ যা লিখতে, ভাসছে, ঘৃণিত এ-হৃদয় চোখের জলে; সেদিনও
অভিসম্পাত না-কমে তোমার; যেহেতু ঐ-হৃদয় পূর্ণ, আমার প্রতি, ঘৃণাতে
তবুও অবশেষে, সে শেষ অপরাধের শেষ ক্ষমার সাধনায়
আরেকটিবার, শেষবার, শেষ ক্ষমা ‘প্রার্থনা’ করে যাই;
ভালোবাসা, হে ভালোবাসা; শেষ; বিদায়, বিদায়।