: এই কাটিস্ না, ওই কাটিস্ না! ধান কাটিস্ না জমির!
: কী হয়েছে এমন করে ক্ষেপলে কেন সমীর?
: এত বড় সাহস তোদের ধান কেটে নিস্ ক্ষেতের!
পিঠের পরে, দেখবি, দেব নরম বাড়ি বেতের?
: নিচ্ছি কোথায়? কাটছি কেবল—ক্ষেপে গেলে এতেই,
যা কেটেছি সব তো পড়ে আছে তোমার ক্ষেতেই।
মাথায় করে তোমার গোলায় তুলে দেব ও ধান,
দেশে এখন ধানকাটানোর সমস্যাটাই প্রধান।
: ও ধান আমি কাটব নিজে কাটার সময় হলেই,
: আমরা নাহয় কেটে দিলাম বসে ছিলাম বলেই।
: আহা, আহা! সে কথা না—অন্য কথা আমার।
: বলতে কী চাও আছে তোমার ধান কাটারও গ্রামার?
যেমন করেই কাটো ও ধান, কমে না গুণ ও মান
খেতে কেমন—টেস্টি কি না—সেটাই আসল প্রমাণ।
: সে কথা না—দুর্মুখোরা—হয়নি আমার সময়—
: ব্যস্ত মানুষ সময় তোমার একটু আধটু কম হয়।
: ধুত্তুরি ছাই! সে কথা না—কী বলে যে বোঝাই,
: ও বুঝেছি, বলতে কী চাও—তোমার কথা সোজাই।–
আমরা পেডি-ভলান্টিয়ার ধান কেটে দেই মাঠের,
নেই না টাকা বরং টাকা খরচ করি গাঁটের।
: সে কথা না! বলছি কথা আমার অভিজ্ঞতার।
: গুল্লি মারি তোমার ওসব আশি কালের কথার।
তোমার সাথে প্যাঁচাল পেড়ে দেরি হলো বেজায়,
বাজেবকা মূর্খ লোকের ভালো করতে কে যায়?
তাকিয়ে দেখো মাঠে কেমন কাট দিয়েছি ধানের,
লাভ যা হলো তোমার এবং তোমার পোলাপানের।
: সব্বনেশে কাজ করেছিস্—এখন আমি কী খাই!
কখন কেমন ধান কাটে আয় কানে ধরে শিখাই।
ধানে আমার পাক ধরেনি, ফুল ধরেছে কেবল,
ধান খাব না খাব কি ওই ধানের ভেজিটেবল?
পুঁচিয়ে সারা করলি তোরা এক বছরের খাবার।
বাড়াস্ নে কাজ আঁটি বেঁধে গোলায় তুলে আবার।
আমার ছেলেপুলে বুঝি মরল তোদের থাবায়,
রাখ্ গিয়ে ধান গোয়াল ঘরে গোরু যদি চাবায়।