আহমদ মেহেদী'র গল্প সেদিনও ফাগুন ছিল ।। বর্ণপ্রপাত


এক
রিফাত ইকুয়েডর যাবার পর বাসার সামনের বিভিন্ন ফুল সমৃদ্ধ বাগানের পরিচর্চা মেহরাবই করে। সে একটি প্রাইভেট ব্যাংকে চাকরি করে। তার জীবন-যাপন খুব গোছানো। ভোরে ঘুম থেকে উঠেই বাসার সবার জন্য নিজেই চা বানাবে, এই কাজটি করতে নাকি তার খুব ভাল লাগে। আধা ঘন্টা সময় নিয়ে গোসল , রাতের অবশিষ্ট পড়া বই কিংবা পত্রিকা পড়া শেষ করে নামমাত্র নাস্তা সেরে সোজা অফিসে। এই শহরের জ্যাম, খুন-খারাপি, ধর্ষন ছাড়া তার সবই ভাল লাগে । সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার কারণে গত সপ্তাহে প্রমোশন পেয়েছে। মা-বাবা ও দুই বোন নিয়ে তাদের গোছালো সংসার। বড় বোন সামিয়ার  বিয়ে হয়ে গেছে সাত বছর হতে চলল। রিচির এখনো বিয়ে হয়নি। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজ বিজ্ঞান, ২য় বর্ষে পড়ছে।
 রিচিকে ডাক দিলো-মেহরাব ভাইয়া?
-বল,পুটলি , কি হয়েছে?
-আমি না বলছি আমাকে পুটলি বলে ডাকবে না!
-আমার কি আরেকটা পুটলি আছে যে তাকে ডাকব। 
-আবারো ! মা তোমার ছেলেকে কিছু বলবে ?
মা রান্না ঘর থেকেই বলে আমার ছেলে আবার কি করলো ? থ্রি-পিছ পছন্দ হয়নি বুঝি?
-মা, তুমিও না! 
-মেহরাবের সাথে ভার্সিটি চলে যা, আসার সময় বদলে আনিস কেমন। 
-কিরে পুটলি ?
-ভাইয়া , এটা তো বাসা না, আমরা এখন রিকশায় ।
-তো কি হয়েছে। হুটটা ফেলে দেব ?
-না , দরকার নেই। 
-ফেলে দেই। দেখবি ফাগুনের মৃদু হাওয়ায় তোর চুলগুলো উড়লে তোকে দেখতে অনেক ভাল লাগবে। 
-বলছে তোমাকে , তুমি আমাকে আর পুটলি ডাকবে না ভাইয়া ( রাগত সুরে)
-তুই যতো রাগ করবি ততোই বলব , কাজেই তোর সিদ্ধান্ত তুই ঠিক করে আমাকে জানাস। নে পাঁচশ টাকা নে। ক্লাশ শেষ করে আমাকে কল দিবি কেমন । 
-ভাইয়া দেশে এলে বিচার দেব । 
-দিস। সাবধানে যাস ।
-ওকে ভাইয়া।
এই যে ভাই আমাকে এখানে নামিয়ে দেন , তাকে ভার্সিটি নামিয়ে দিবেন। রিচি মুচকি হাসছে আর ফাগুনের মৃদু হাওয়ায় তার চুলগুলি এক অদ্ভুত ঢেউ তুলছে । সত্যি তাকে অনেক সুন্দর লাগছে । জ্যামলাগা রাস্তার গাড়িগুলোও যেন সব ভুলে তার দিকে তাকিয়ে আছে। গাড়ির জানালা ফাক করে মানুষগুলো ফাগুনের এই হাওয়ায় নিজেদের মেলে ধরতে চেষ্টা করছে যেন। রাস্তার মাঝের গাছের সাড়িতে কয়েকটি কাক ডাকছে। কা..কা..কা... ।

দুই
এক সময় রিফাতও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছিল। তার বাবা তাকে অনেক কষ্ট করে এই পর্যন্ত এনেছে। তার বাবা তাদের এলাকাতে জুতার ব্যাবসা করতেন। খুব বেশিদিন হয়নি এক গ্রীষ্মে তাদের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায় । তখন থেকেই তার বাবা মানসিক ভাবে খুব ভেঙে পড়েন। রিফাত তখন ঢাকা ভার্সিটির সোনালী দিন পার করছে। একটি সক্রিয় রাজনৈতিক দলের হয়ে ক্যাম্পাস কাপিয়ে তুলছে। এই হলে সেই হলে শুধু রিফাত বন্দনা। ক্যাম্পাসের সকলের প্রিয় আশ্রয়স্থলের নাম তখন রিফাত। দু বছরের মাথায় গ্রামের একটি ছেলে ভার্সিটির সবার ভালবাসায় সিক্ত হতে পারা চারটি খানি কথা নয় । তার জীবনের সবচেয়ে ভালো যে দিকটা তা হলো সে কথা দিয়ে কথা রাখে, সততাকে হৃদয়ে লালন করে। যেখানেই অন্যায় সেখানেই রিফাত। বাবার এমন অবস্থায় কি করবে রিফাত ভেবে কুল পায় না। তার বড় বোন রোকছানা এখনো লেখাপড়া শেষ করতে পারেনি, তার বিয়ের কথা চলছে , মেহরাব মাত্র এসএসসি দিয়েছে, রিচি এবার সেভেনে পড়ছে। তাদের সংসারের চাকা ঘুরতো শুধু বাবার ঐ দোকানটার কারনেই। রিফাতের ক্যাম্পাসময় দিনগুলো আস্তে আস্তে বিষাদে পরিনত হতে থাকে। তার মনে শুধু একটাই চিন্তা এই ফ্যামিলিটার কি হবে? আমার এই মুহুর্তে কি করা উচিত। আমি তো এই ফ্যামিলির বড় ছেলে। সে তার বাবার সাথে কাউন্সিলিং-এ বসে। 
-বাবা, এখন কি হবে আমাদের ?
-আল্লাহ ভরসা রিফাত। তুই আগে অনার্স শেষ কর । এরপর ভাল একটা চাকরি নিবি । তোর বাবাকে এই ছাইস্তুপ থেকে উঠিয়ে নিবি।
-বাবা,আমার তো আরো তিন বছর লাগবে। আমি টিউশানি করে যা পাই আর বন্ধুদের কাছ থেকে ধার নিয়ে কোনরকম চালিয়ে নিচ্ছি। টাকা কামালে অভাব নাই বাবা। কিন্তু তোমার রক্ত যে আমার শরীরে। 
-এতো টাকা-পয়সা আমার দরকার নাই। এভাবেই চল। 
-বাবা , রোকছানা আপার বিয়ে ! মেহরাব আর রিচির ...
-তোকে যাই বলছি তুই তা কর গিয়ে! (তার চোখে জল)
-বাবা, আমি বিদেশ যাব।
-মানে? তুই কি বলছিস তুই জানস, তুকে এই পর্যন্ত আনতে আমার কত খরচ হয়েছে জানিস?
-তারপরও বাবা । তুমি বাধা দিওনা। মাকে বলেছি । মা সায় দিয়ে দিয়েছে।
-তোর মা সায় দিলেই হবে? না ,তা হতে পারে না। তুই তোর লেখাপড়া শেষ কর । ভাই-বোনের কথা তোর চিন্তা করার দরকার নেই । তাদের কপালে যা আছে হবে। 
-না , বাবা তা হয় না । এবার তোমার ও বিশ্রামের খুব দরকার বাবা। আমি মার কাছ থেকে সব শুনেছি! তুমি কোন চিন্তা করো না । দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে।
-না , তা হয় না রিফাত। জানিস তোর জন্মের পর আমি তোকে দেখে যে খুশি হয়েছিলাম তা যদি তোকে এই মুহুর্তে বুঝাতে পারতাম ! তোকে পাতাইল্লা কোলে নিয়ে কত যে এস. আলম ডাক্তারের কাছে ...বলেই কাঁদতে কাঁদতে রিফাতকে জড়িয়ে ধরলেন।
-বাবা, তুমি শুধু দোয়া কর বাবা। 
কাছারি ঘরে সন্ধ্যার ছায়া পড়তে শুরু করেছে। এক্ষণি হয়তো  মাগরিবের আজান দিবে । 

তিন
অর্থের জন্য ইকুয়েডর দিনরাত পরিশ্রম করে পুড়ে যাওয়া স্বপ্নগুলোকে আবার রোপন করেছে রিফাত। তার ভাই-বোনদের মাঝে সে নিজের হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নগুলোকে খুজতে থাকে , কখনো ক্লান্তিতে কখনো বা একাকীত্বে। ভার্সিটিতে পড়ার সময় আয়েশা  নামের একটি মেয়েকে ভালবাসতো। আয়েশা ও রিফাতকে তার হৃদয়ের রাজা করে রাখতো সবসময়ই। কিন্তু ক্যাম্পাস জুড়ে তা কেউ কখনোই জানতো না। ক্যাম্পাসে তার বন্ধু হতে চাইতো এমন সংখ্যা বলে শেষ করা যাবেনা। তার ছেলে বন্ধু , মেয়ে বন্ধু কেউ আজ পর্যন্ত আয়েশার কথা জানতে পারেনি । সে বিদেশ চলে যাবার পর তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের কাছে আয়েশাই সব বলেছিলো। ক্যাম্পাস জুড়ে রিফাত নেই, কেন নেই ? কোথায় আমাদের রিফাত ভাই ! শুধু এই গুঞ্জনই ছিলো কয়েক মাস। হঠাৎ আয়েশার বাবার পছন্দের ছেলের সাথে তার বিয়ে হয়ে যায়। রিফাত একদিন রায়হানের সাথে কথায় কথায় জানতে পারে আয়েশার বিয়ে হয়ে ...। এরপর রিফাত আরো দৃঢ় হতে থাকে। আট বছর পর দেশে আসে । অসুস্থ্য মা- বাবার অনুরোধে বিয়েও করে । তার বউ কয়েক মাস না যেতেই তার মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে আসতে বলে । তা শুনে রিফাতের মাথায় আকাশটা ভেঙেই পড়লো। স্ট্যানবাই ডিভোর্স। তার বউ তাকে কয়েকটি মামলাও দেয় । এই বাহানা, সেই বাহানা। কিন্তু বৃদ্ধাশ্রমের বাহানা কোর্টে যেতে না যেতেই রিফাত সব মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পায়। ছুটি শেষ করে আবারো বিদেশে পাড়ি জমায়। ছয় মাস হলেই দেশে আসে । আবার চলে যায় । রিফাত এখন কেন্দ্রীয় রাজনীতি করে। দেশে আসলে বেশিরভাগ সময় তার রাজনৈতিক অঙ্গনেই কাটে। রিফাত মুন্সি ঢাকার এক পরিচিত সৎ পলিটিশিয়ানের নাম। ন্যাংটা কালের দোস্তদের ঢাকায় নিয়ে আসতে থাকেন। যারা টাকার অভাবে লেখাপড়া করতে পারেনি তাদের খুঁজতে থাকেন। তাদের কাজের ব্যবস্থা করতে মরিয়া হয়ে উঠে রিফাত। তার ছেলেবেলার সবচেয়ে কাছের বন্ধুদের মধ্যে একজন জালাল মামা। তাকে জিগাতলায় একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর কিনে দিল । এখানেই প্রায়ই বিকালে এসে বসে রিফাত। চা আর সিঙ্গারার আড্ডা তো আছেই। তার খোঁজখবর নেয় । যেন তার খোঁজখবর নেয়াও তার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। সিংহভাগ ওয়ার্ডের ভালমন্দের দেখভালের দায়িত্ব এখন রিফাতের হাতে। হয়তো ক্যাম্পাসের সেই রিফাতকেই খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা । শহর কেমন জানি ক্লান্ত শরীর নিয়ে দাড়িয়ে আছে। তবুও মানুষ ছুটছে যার যার স্বপ্নের গাড়ি ধরতে। 

চার
জালাল মামার দোকানের সামনের চেয়ারে রিফাত বসে তার স্মাটফোনে কি যেন খুঁজছে। সে বলল
- ভাগিনা চা আনমো?
-না । 
-ঠান্ডা দেব একটা ?
-আচ্ছা দেও একটা । পত্রিকাটাও দিও । 
-দেখতো ভাগিনা বিন্দুর স্কুলের ঘটনাটা এসেছে কিনা?
-কি ঘটনা?
-একটা বাচ্চা মেয়েকে কারা যেন কিডন্যাপ করে মুক্তিপন দাবি করছে। 
-কি বল মামা? তুমি আমাকে আরো আগে জানাও নি কেন?
-আমি তো তোমার মামির কাছ থেকে সকালে শুনলাম।
-একটা সিগারেট দাও তো মামা! 
রিফাতের চোখের চশমা খুলতেই যেন এ এক অন্য রিফাতকে দেখছে জালাল মামা। 
-উঠ, দোকান বন্ধ কর , তাদের স্কুলে যেতে হবে! তাড়াতাড়ি কর।
-আচ্ছা।
ঠিক দুপুর । রিফাত ঐ স্কুলের হেড স্যারের রুমে তার সাথে মুখোমুখি কথা বলছে। পাশে জালাল মামা দাড়ানো। রিফাত আরো কাকে কাকে যেন ফোন করল।
-স্যার, কিভাবে এরকম একটি ঘটনা ঘটলো ?
-স্কুলের ভিতর থেকে হয়নি , বাবা। আমাদের সিকিউরিটি খুব ভাল। 
-তাদের বাসা কোথায় ?
-ধানমন্ডি। মেয়েটির বাবা-মা একটু আগে এখান থেকে চলে গেছেন। আর এই ছবিটি দিয়ে গেছেন যেন স্কুলের গেইটে টানিয়ে দেই। রিফাত ছবিটি দেখে খুব চমকে উঠলো। নিজেকে অনেক কষ্টে সামলে নিলেন। এই যে তার হৃদয়রাণী আয়েশার সাথে ছোট্ট একটি রাজকন্যার ছবি! 
জালাল মামা চল বলেই স্কুল থেকে বের হয়ে গেল। কোথায় যেন সাথে নিজের স্মার্টফোন দিয়ে ছবিটির ছবি তুলে পাঠাল । এই মুহুর্তে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়াটাও বোকামি হবে। জালাল মামা যেন থ বনে গেছে একেবারে। তার মনে অনেক জিজ্ঞাসা কিন্তু রিফাত কে এই মুহুর্তে কিছু বলার তার সাহস নেই। 
তিনদিন অন্য এক রিফাতকে দেখেছে ঢাকাবাসী। জালাল মামাকে দিয়ে যারা মুক্তিপন দাবি করেছে তাদের নাম্বার আনায় সে । ছোট্ট এই বাচ্চাটিকে বাঁচাতে তার সমস্ত রাজনৈতিক শক্তি দিয়ে যা যা তদবির, লোকসান করা দরকার করেছে সে। অপহরনকারীরা তার কাছেই মেয়েটিকে ফেরত দিতে রাজি হয় । বিনিময়ে তাকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে। রিফাত জালাল মামা আর ইব্রাহিমকে দিয়ে তাকে ধানমন্ডি পৈৗছে দেবার ব্যবস্থা করে। মেয়েটির মা-বাবা কি যে খুশি হয়েছে তাদের রাজকন্যাকে দেখে! এ এক স্বর্গীয় দৃশ্য । তারা কি করবে ভেবে পায় না। তাদের এই আনন্দ দেখে ইব্রাহিম ও জালাল মামার  চোখেও জল । তবে এটা আনন্দের । তাদের ঘরের জানালার পর্দা ঠেলে যেন ফাগুনের মৃদু বাতাস বইতে শুরু করেছে।  তাদের জন্যে আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন।
আয়েশা তার মেয়েকে নিয়ে জালাল মামার দোকানে একদিন হাজির। রিফাতের নিষেধ থাকা সত্বেও তিনি তাকে সমস্ত ঘটনা খুলে বললেন। এটাও বললেন সে কারো সাথে দেখা করেনা।  আয়েশা তার হাতদুটি ধরে বললেন,
-আপনি একবার শুধু তার কাছে আমাকে নিয়ে চলেন।
-না, আপা,আমি পারতাম না । তাইলে আমার কপালে দুঃখ আছে। 
-আপনাকে তার সাথে আমার দেখা করাতেই হবে যে ! এমনভাবে বলল জালাল মামা আর মানা করলো না। সোজা রিফাতের দোতলার রুমের সামনে। 
-রিফাত ? দরজাটা খুল । 
-কে ?
-আমি তোর মামা । তোর সাথে কথা আছে রে বেটা। 
-না মামা , দুঃখিত । আমার শরীরটা ভাল না । বিরক্ত করোনাতো ! এখন যাও। 
-আমার খুব বিপদ । তুই দরজাটা খোল। 
ভিতর থেকে রিচি দরজা খুলেই সে পাশের রুমে চলে গেল। রিফাত একটি চেয়ারে বসে বারান্দার আকাশের দিকে তাকিয়ে সিগারেট টানছে। সে সিসি ক্যামেরায় সব দেখেছে। আয়েশার বিস্ময় দেখে জালাল মামাও অবাক দাড়িয়ে। 
-রিফাত ! তুমি ! তুমি আমার মেয়েকে উদ্ধার করে....বলেই সে রিফাতের মুখোমুখি হতে চাইলে ইশারায় জালাল মামাকে কি যেন বলল রিফাত। 
-হ্যাঁ, আমিই! তুমি একবার তাকাও আমার দিকে ! 
- তের বছর আগেই শপথ করেছি তোমার মুখোমুখি হবোনা কোনদিন। 
-কেন?
-সব কেন’র উত্তর এই পৃথিবীতে নেই! মেয়ের নাম কি ?
-তাবাস্সুম। 
-সুন্দর নাম ! মেয়েটি রিফাতের খুব কাছে চলে গেল। রিফাত তাকে জড়িয়ে ধরে আদর করলেন আর বললেন,
-এই মুহুর্ত থেকে সে আমার মেয়ে ভাবলে কোন সমস্যা আছে ?
-না , রিফাত , না...। 
-ভালো থেকো আয়েশা ! জালাল মামা তাদের কে ধানমন্ডি দিয়ে তাড়াতাড়ি আসো, বাবাকে নিয়ে হসপিটালে যেতে হবে। 
আয়েশার চলে যাওয়ার সময় সিসি ক্যামেরায় তার মুখখানি এক নজর দেখার যে আকুতি ছিল রিফাতের। তা জানে না এই পৃথিবীর কেউই। সেদিনতো ফাগুনেরই ছিলো।

Post a Comment

মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।

Previous Post Next Post

আপনিও লেখুন বর্ণপ্রপাতে

ছড়া-কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ( শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, লোকসাহিত্য, সংগীত, চলচ্চিত্র, দর্শন, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সমাজ, বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা ও প্রবন্ধ), উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী, গ্রন্থ ও সাহিত্য পত্রিকার আলোচনা ও সমালোচনা, চিঠি, সাহিত্যের খবর, ফটোগ্রাফি, চিত্রকলা, ভিডিও ইত্যাদি পাঠাতে পারবেন। ইমেইল bornopropat@gmail.com বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ।