মশা মারতে দিলাম থাপ্পড় লাগলো নিজের গালে,
মশার কামড় থাপ্পড়ের চোট সমান সমান জ্বলে!
চুলকানিটা সুদ সমেত বাড়ছে অবিরাম।
ঝাঁঝাঁনি আর চুলকানিতে আমার বিঁধিবাম!
চক্ষুযুগল তন্দ্রাঘোরে কর্ণযুগল খাঁড়া,
মর্ম জুড়ে উৎকণ্ঠা দিচ্ছে আমায় তাড়া!
গোঁদের উপর বিষফোড়া কোভিড নাইন্টিন,
আক্রান্ত আর মৃত্যু সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন।
সংক্রমণ এড়াতে সরকার জারী করলো আইন,
ঘরেই থেকে মেনে চলুন হোম কোয়ারেন্টাইন।
কাজকর্ম ফেলে রেখে বসে রইলাম ঘরে,
কর্মবিহীন পরিস্থিতি বুঝাই বলো কারে!
যা ছিল ঘরে মজুদ দিনে দিনে শেষ,
ক্রমান্বয়ে দূ-চোখের ঘুম হচ্ছে নিরুদ্দেশ।
কেমন করে কাটবে যে দিন হবে কিযে হাল?
চিন্তা আর উৎকণ্ঠায় বড়ই টালমাটাল!
কীভাবে জুটবে অন্ন কোথায় পাব টাকা,
বসে বসে খেয়ে খেয়ে হাতটা ভীষণ ফাঁকা।
রমজানের রোজার শেষে আসছে আবার ঈদ,
কেনাকাটার চিন্তাভাবনায় পালিয়ে গেছে নিঁদ।
ছেলে বলছে এটা চাই, মেয়ে বলছে ওটা,
স্ত্রীর মুখটা বেজায় ভারী মেঘের ঘনঘটা।
কাকে রেখে কাকে বুঝাই নিজেই বুঝি কম,
”এ কোন ফাঁস লাগলো গলে”ফুরায় বুঝি দাম!
সরকারি ফার্মে যারা আছেন, তারাই আছেন বেশ,
ঘরে বসেই গুণছে বেতন নেইতো হাপিত্যেশ।
আমরাতো ভাই শ্রমিক শ্রেণির মজুরী বেঁচে খাই,
রোজই বেঁচি রোজই কিনি মজুদ তেমন নাই।
সে পথটাও করোনাকালে বন্ধ হয়ে গেছে,
জানেন কি ভাই শ্রমিক শ্রেণির মানুষ কেমন আছে?
good one
ReplyDeleteদারুণ
ReplyDelete