আজ মাথার উপর বাবার হাত নেই বলে
সবার কাছে ছোট হতে হতে এতটাই
ছোট হয়েছি যে নিজেকে বড্ড
ক্ষুদ্র কীটপতঙ্গের থেকেও ক্ষুদ্র মনে হয়।
আজ বাবা নেই বলেই
আমি অপয়া,অলক্ষ্মী,অহঙ্কারি।
কথা না বললে যদি অহঙ্কারি হয়,
তবে হ্যা আমি অহঙ্কারি।
না না সবার সামনে নিজেকে মিলিয়ে
ধরার শক্তি নেই তা নয়,
কথা বলতে পারিনা তাও নয়
এই সমাজ আমার মুখের ভাষা
কেড়ে নিয়েছে বহু আগেই।
সবার সামনে দাড়িয়ে কথা বলতেই
দশটা আঙ্গুল উঠে আসে
দু-মায়ের সন্তানতো তাইতো
এমন ঝান্ডুমাল।
তাই নিথর হয়ে সরে পরেছি।
নিশ্চুপ থাকতে থাকতে আজ
আমি সত্যি ভাষাহীন এক
বোবা প্রতিবন্দী হয়ে পরেছি।
আজ বাবার হাত নেই বলেই
সহজেই সবার সামনে মাথা নোয়াতে হয়।
যে ভাইয়ারা মুখে খাবার না
তুলে দিয়ে নিজেরা খেতনা
আজ তারাও বহুদুরে-
কতটা হেলা-ফেলায়।
কখনো ভাবিরা বলেই ফেলে,
বাবারতো আর কম নেই
তবুও আমরা এই যে চোখের সামনে
রেখেছি এও কি কম?
আজ বাবা নেই বলেই
কোনো সখ আহ্লাদ থাকতে নেই।
কোনো কিছু কিনতে গেলেই
ভাইয়া ভাবিদের ছোট বড় কথা শুনতে হয়।
মুখের উপর বলেই বসে হয়তো,
লেখা পড়া করাচ্ছি এও কি কম?
আজ বাবা নেই বলেই
কখনো দু টাকা কাউকে দিতে নেই।
নিজেইতো অন্যের ঘারে বসে খাচ্ছি।
বাবার এত প্রতিপত্তি অর্থকড়ি,
কই নিজেকে তবু তার কাছেই ছোয়ালি করতে হয়।
তাহলে কেনো এমন বাসনা জাগবে দান করার?
আজ বাবা নেই বলেই
চোখের মাঝে হাজারও স্বপ্ন মাটি দিতে হয়।
অন্ধকারে বসে ডুকরে ডুকরে
কাঁদতে হয় সবার অন্তরালে।
আজ বাবা নেই বলেই,
আমি স্বপ্নহীন অসহায় নিরব নিথর
এক প্রাণী মাত্র।