কাজের বুয়া ।। আফছানা খানম অথৈ

 

হাজেরা বেগমের স্বামী মারা যাবার পর দুই ছেলে সাজ্জাত আর আনোয়ার বলে,

মা তোমাকে এখানে দেখার কেউ নেই।আমরা দুভাই শহরে থাকি।যখন তখন আসতে পারিনা।তাছাড়া যখন তখন আসা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।তাই বলছি আমাদের ঘরবাড়িসহ যেটুকু সম্পদ আছে বিক্রি করে ফেলি।

সে কী! ঘরবাড়ি বিক্রি করলে থাকব কোথায়?

কী যে বলো না মা।ঢাকায় আমরা ফ্ল্যাট কিনব।তারপর সবাই এক সঙ্গে মিলেমিশে থাকব।

তোরা যা ভালো মনে করিস তাই কর।আমি আর কী বলব।

মায়ের মনে নেই কোন ছলচাতুরী।মায়ের মন মোমের মতো নরম।সন্তানের মঙ্গলের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতেও দ্বিধা করে না।সম্পদ এ আর এমন কী?

মা ঠিক রাজী হয়ে গেলেন।তারপর বাড়িঘরসহ সকল সম্পত্তি বিক্রি করে শহরে পাড়ি জমালেন।

সাজ্জাত আর আনোয়ার পরামর্শ করে ফ্ল্যাট দুটো নিজের নামে কিনলেন।

হাজেরা বেগম সিরিয়াল অনুযায়ী দু'ছেলের বাসায় থাকে।একমাস সাজ্জাতের বাসায়,একমাস আনোয়ারের বাসায়।প্রথম প্রথম শ্বাশুড়িকে একটু ভালো চোখে দেখলেও পরবর্তীতে খারাপ চোখে দেখে,বোঝা মনে করে।ভালোভাবে দেখভাল করে না।ভালো খেতে দেয় না,পরতে দেয় না।উঠতে বসতে ভাতের খোটা দেয়।বাসার সকল কাজ করায়।

কানপড়া দিয়ে দুছেলের কানভারী করছে দু'বউ।

একদিন হাজেরা বেগমরের প্রচণ্ড জ্বর,শরীর কাঁপছে।জ্বরের ঘোরে আলা বোলা কথাবার্তা বলছে।ফজরের নামাজ পর্যন্ত তিনি পড়তে পারেননি।অথচ বড় বউ এসে বলল,

সে কী মা এখনো শুয়ে আছেন যে?তাড়াতাড়ি নাস্তা রেডি করেন,আপনার ছেলের অফিসের সময় হয়ে গেছে।

বউ মা আমার শরীর খুব খারাপ।একটু কষ্ট করে নাস্তাটা বানিয়ে নাও।

কী বললেন,আমি নাস্তা বানাব,তাড়াতাড়ি উঠে নাস্তা বানান।তা না হলে বাসা থেকে বের করে দেব।আপনাকে বসে বসে খাওয়াবে কে?

হাজেরা বেগম উঠতে চেষ্টা করছে।কিন্তু পারছে না।

এদিকে সাজ্জাত নাস্তার টেবিলে বসে আছে। এমন সময় বড় বউ এসে বলে,

তোমার মায়ের কাণ্ড দেখো?

কেনো, মা কী করেছে?

কী করেনি বলো।এতবেলা হয়েছে এখনো শুয়ে আছে।আমি ছাপছাপ বলে দিচ্ছি।এ বাসায় শুয়ে বসে থাকা চলবে না।থাকতে হলে কাজ করে খেতে হবে।

মা শুয়ে আছে থাক না।আজকের জন্য নাস্তা তুমি বানাও। 

এতবড় সাহস আমাকে নাস্তা বানাতে বললে?

নাস্তা বানাতে বলেছি এতে সাহসের কী দেখলে?

কী বললে?

মা নাস্তা বানাতে পারলে তুমি পারবে না কেনো?

কী তোমার মায়ের সাথে আমার তুলোনা?এতবড় অপমান,আমি আর এ বাড়িতে থাকব না।

ঝগড়া কী আর থামে।দুজনের মাঝে আর ও কিছু সময় তর্ক হয়।ঝগড়া চরম রুপ ধারন করে।বড় বউ চলে যেতে প্রস্তুত হয়।হাজেরা বেগম ছুটে এসে বলে,

বউ মা তুমি যেওনা।এইতো আমি নাস্তা বানাতে যাচ্ছি।

এমন সময় সাজ্জাত বলল,

মা তুমিও না।একটু কাজ করলে কী হয়?সারাদিন তো শুয়ে বসে থাক।

বাবা আমার ভুল হয়ে গেছে।আর কখনো এমন হবে না।তোরা আর ঝগড়া করিস না।

ছেলে মাকে কাজ করার কথা বলেছে।তা শুনে বউয়ের কলিজা ঠাণ্ডা হয়ে গেছে।সাজ্জাত অফিসে চলে গেল।একটি বারের জন্য জানতে চাইল না।মা কেনো শুয়েছিলো।

জ্বর নিয়ে হাজেরা বেগম রান্না করলেন।ভাবলেন বড় ছেলেকে ঔষধের কথা বলবেন।কিন্তু ছেলের মতিগতি ভালো না।ঔষধের কথা বললে আবার যদি দ্বন্ধ লেগে যায়।তাই ছুটে গেলেন ছোট ছেলের বাসায়।কলিংবেল টিপতেই,ছোট বউ দরজা খোলে শ্বাশুড়িকে দেখে বললেন,

মা এখনো তো মাস শেষ হয়নি।কেনো এসেছেন?

বউ মা আমি থাকতে আসেনি।আনোয়ার কোথায়?

বাসায়, কেনো বলুন তো?

বউ মা আনোয়ারকে বলো আমার জন্য এক পাতা নাপা টেবলেট আনতে।

মা আপনার আক্কেল কবে হবে?

কেনো বউ মা,আমি ভুল কিছু বলেছি?

ভুল নয়তো কী?আপনি বড় ছেলের বাসায় থাকেন।অথচ ঔষধ আনতে বলছেন ছোট ছেলেকে।কেনো উনারা ঔষধ এনে দিতে পারে না?

না মানে ইয়ে...।

মা এত ইয়ে ইয়ে করবেন না।মা আমি ছাপছাপ বলে দিচ্ছি,যতদিন বড় ভাইয়ার বাসায় থাকবেন,সব   দায়িত্ব উনাদের, আমাদের না।

বউয়ের সাথে ঠোঁট মিলালেন আনোয়ার,

মা রেবা ঠিক বলেছে,আমি ঔষধ আনব কেনো?

এখন সব দায়িত্ব ভাইয়ার, আমার না,যখন আমার বাসায় থাকবে তখন আমি সব দায়িত্ব পালন করব।

হায়রে দুনিয়া মায়ের জন্য এক পাতা নাপা টেবলেট আনবে এরজন্য ও ভাগাভাগি।অথচ এই মা সন্তানকে দশ মাস দশ দিন গর্ভেধারণ করেছে।কোলেপিঠে করে মানুষ করেছে।আজ সেই সন্তান মায়ের সাথে দূর্ব্যবহার করছে।বউয়ের সুরে সুর মিলিয়ে দায়িত্ব পালনে অপারগতা স্বীকার করছে।

একবুক দুঃখ নিয়ে হাজেরা বেগম বাসায় ফিরে আসলেন।শুয়ে শুয়ে জ্বরে কাতরাচ্ছে।এমন সময় আনোয়ারে ছেলে সিয়াম আস্তে আস্তে দাদির ঘরে ঢুকে।তারপর বলে,

দাদু এই নাও তোমার জন্য ঔষধ এনেছি।

তোর মা-বাবা দেখেনি?

না দেখেনি।তাড়াতাড়ি খেয়ে নাও।

হাজেরা বেগম ঔষধ খেয়ে নিলেন।তারপর প্রাণভরে নাতির জন্য দোয়া করলেন।

সিয়াম দাদিকে খুব ভালোবাসে।মায়ের ভয়ে সরাসরি কিছু করতে  পারে না। চুপিচুপি দাদির টেককেয়ার করে।

আজ বাসায় বড় বউর মা বোন আসবে।ভালো রান্না করতে হবে।মাছ,গোস্ত,রোস্ট,বিরানি।বড় বউ অর্ডার করলো।শ্বাশুড়ি সবকিছু রান্না করে মেহমানের সামনে বিতরন করলো। সাজ্জাত তার বউ, শ্বাশুড়ি, শালিকাকে নিয়ে কব্জি ডুবিয়ে খাচ্ছে।একটিবারের জন্য  মাকে বলছে না,

মা খেতে বস।

খিদায় হাজেরা বেগমের পেট ছোঁ ছোঁ করছে।ইচ্ছে করছে ভালো কিছু খেতে।কিন্তু ভয়ে মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছে না।মেহমানেরা খাওয়ার পর যা কিছু ছিল,সব ফ্রিজে ভরে রাখল বড় বউ।তারপর  স্বাশুড়িকে খেতে দিলো সামান্য ভাত,সবজি আর ডাল।হাজেরা বেগম ভাত খাচ্ছে আর চোখের জল ফেলছে।এমন সময় সাজ্জাতের ছেলে রোদন চুপিচুপি দাদির ঘরে আসে।এসে দাদির প্লেটে এসব দেখে বলে,

দাদু কেঁদো না।আমি তোমার জন্য মাছ,গোস্ত নিয়া আসি।

বড় বউ মা, বোনের সঙ্গে গল্প করছে।আর এই সুযোগে রোদন চুপি চুপি দাদির জন্য ফ্রিজ থেকে মাছ,গোস্ত,রোস্ট নিয়ে আসে।তারপর বলে,

দাদু তাড়াতাড়ি খেয়ে না।মা এসে পরবে।

হাজেরা বেগম মনভরে খেয়ে নিলেন।তারপর নাতির জন্য প্রাণভরে দোওয়া করলেন।রোদন মায়ের ভয়ে সরাসরি কিছু করতে পারে না।চুপিচুপি দাদির টেককেয়ার করে।

মাস শেষ হলো এবার আনোয়ারের বাসায় থাকার পালা।কাপড় ছোপড় গুছিয়ে তিনি ছুটে গেলেন ছোট ছেলের বাসায়।

সে কী! আসতে না আসতে ছোট বউ শ্বাশুড়িকে বুঝিয়ে দিলেন একগাদা কাজ।থালা বাসন ধোয়া,ঘর মোছা,কাপড় ধোয়া,রান্নাবান্না আর ও কত কি?

হাজেরা বেগম যে দম নিবে সেই সুযোগ নেই।এই বয়সে উচিৎ বিশ্রাম নেয়া।ভালো খাওয়া।কিন্তু না,বিশ্রামের জাগায় তাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হচ্ছে।এত পরিশ্রমের পর যে একটু ভালো খাবে তানা।কপালে জুটে ভাত আর ডাল।হাজেরা বেগমের বুক ফাটে তবু মুখ ফোটে না।কারণ ছেলেরা কেমনজানি পর হয়ে গেছে।মায়ের প্রতি আগের মতো ভালোবাসা নেই।বউয়ের কথায় উঠবস করে।বউয়ের সুরে সুর মিলায়।মায়ের প্রতি কেমন জানি অবহেলা।মায়ের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করে না।মা কি খেলো না খেলো একটিবারের জন্য খোঁজ খবর নেয় না।এজন্য মা সব অন্যায় হজম করে  নিরবে নিভৃতে কাঁদেন। 

কাজ করতে করতে তিনি খুব ক্লান্ত হয়ে পড়লেন।শরীর যেন আর চলছে না।সমস্ত শরীর কেমন জানি ঝিনঝিন করছে।মাথা ঘুরাচ্ছে,চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে।  তাই একটু দম নিতে বসলেন।এমন সময় ছোট বউ বলল,

মা বসে আছেন যে?

বউ মা শরীরটা খুব খারাপ লাগছে।আর পারছি না।তাই একটু বসেছি।

কাজে ফাঁকি দেয়ার ফন্দি আঁটছেন না।এই বাসায় বসে খাওয়া চলবে না।তাছাড়া এই বয়সে পরিশ্রম করা শরীরের জন্য ভালো।শুয়ে বসে থাকলে শরীরে চর্বি জমে যাবে।তাই বলছি আর বনিতা না করে কাজগুলো শেষ করেন।

বউয়ের কথায় সাপোর্ট করে  ছোট ছেলে বলল,

মা রেবা ঠিক বলেছে।এই বয়সে পরিশ্রম করলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

কোথাও বউয়ের অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে। দুগালে কষে চড় বসিয়ে দেবে তানা।বউয়ের কথায় সাপোর্ট করে।পরের মেয়ের কি দোষ দেবে।নিজের ছেলেতো খারাপ।নিজের ছেলের মুখে এমন কথা শুনে মা বাকরুদ্ধ হয়ে গেল।

যে মায়ের পায়ের তলে সন্তানের বেহেস্ত। যে মায়ের টেককেয়ার করা সন্তানের জন্য ফরজ।সেই মাকে কাজের ফরমায়েশ দিচ্ছে ছেলে।এর চেয়ে দু:খজনক ব্যাপার আর কী হতে পারে?

এমন অপমান সহ্য করতে পারলো না মা।চোখের জলে বুক ভাসাল।এমন কুলাঙ্গার সন্তান কেনো জন্ম দিলো বারবার নিজেকে দায়ী করলো।

আজ ছোট ছেলে-বউয়ের সপ্তম বিবাব বার্ষিকী। প্রতিবছর এমন দিনে তারা ধুমমধাম করে অনুষ্ঠান করে।এ বছর ও তাই করবে।এই অনুষ্ঠানের সকল কাজ হাজেরা বেগমকে করতে হবে।কিন্তু সপ্তাহ খানেক ধরে উনার শরীর ভালো যাচ্ছে না।প্রায় সময় জ্বর আসে।রাতে কাশি বেড়ে যায়।আনোয়ারকে ডাক্তার দেখাতে বললে ,ছোট বউ রুক্ষ ভাষায় বলে,

এ বয়সে এক আধটু জ্বর কাশি হয়। এর জন্য ডাক্তার দেখাতে  হয় না।শুধু শুধু টাকা খরচ। আমরা আপনার পেছনে আর এক টাকাও খরচ করতে পারব না।এখনো দাঁড়িয়ে আছেন কেনো?যান বলছি

বউয়ের ধমকে আনোয়ার থেমে গেল।মাকে নিলো না ডাক্তারের কাছে।

যে সন্তান মায়ের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করবে,সে হাসতে হাসতে জান্নাতে যাবে।আর যে সন্তান মায়ের প্রতি অবিচার করবে,সে কাঁদতে কাঁদতে জাহান্নামে যাবে।অথচ আমাদের সমাজে প্রায় দেখা যায় সন্তান মায়ের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করে না।অনাদর অবহেলা করে প্রতিনিয়ত। 

আজ হাজেরা বেগমের অবস্থা ও তাই হলো। বসে থাকতে পারলো না।অসুস্থ শরীর নিয়ে অনুষ্ঠানের সকল রান্না করলো।

এদিকে বাসাভর্তি মেহমান।আত্মীয়-স্বজন বন্ধু -বান্ধব সবাই মিলে কেক কেটে বিবাহ বার্ষিকী পালন করলো।কিছু সময় গান বাজিয়ে বাদ্যের তালে সবাই নাচানাচি করলো।তারপর খেতে বসল।হাজেরা বেগম সবার সামনে খাবার পরিবেশন করলো।তাকে দেখে আনোয়ারের এক বন্ধু বলল,

উনি কে? উনাকে তো আগে কখনো দেখিনি।উনি কী তোর বাসার নতুন কাজের বুয়া? 

আমন্ত্রিত অতিথরা সবাই তার দিকে তাকিয়ে রইল।তিনি পরিচয় দিলে আনোয়ারের সম্মান যাবে।তাই চোখে রাঙিয়ে ইশারা করে সরে যেতে বললেন। হাজেরা বেগম আর দেরী করলেন না।নিজের ঘরে চলে গেলেন।ঘৃণায় ক্ষোভে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন।কেঁদে কেঁদে বললেন,

হে আমার সৃষ্টিকর্তা,পরম করুণাময় আল্লাহ,আমি পাপিরে কেনো এত কষ্ট দিচ্ছ জানি না?আজ ছেলের বাসায় আমাকে কাজের বুয়া হয়ে থাকতে হলো।এর চেয়ে দু:খজনক আর কী হতে পারে?ও মাবুদ আমি আর অপমান সহ্য করতে পারছি না।কিসে আমার মঙ্গল হবে আমি জানি না,আপনি জানেন।যেটাতে আমার মঙ্গল হবে আমাকে তাই দিন।আমীন।।

 প্রার্থনরত অবস্থায় তিনি মুর্ছিত হয়ে পড়লেন।এদিকে সবাই আনন্দ উল্লাস করছে।কেউ টিভিতে সিরিয়াল দেখছে,ছোট বউ আর তার বোন ভগ্নিপতিকে নিয়ে বাদ্যের তালেতালে নাচ্ছে।অনেক রাত করে সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে।

সকাল হলে দুনাতি সিয়াম আর রোদন দাদির ঘরে আসে।দেখে দাদি এলোমেলোভাবে শুয়ে আছে।কোন সাড়াশব্দ নেই।তারা দাদু দাদু বলে কয়েকবার ডাকে।দাদু কথা বলে না।এবার নাকে মুখে হাত দিয়ে দেখে শ্বাস-প্রশ্বাস প্রবাহিত হচ্ছে না।তারা ছোট হলেও বুঝতে পেরেছে দাদি আর নেই।তারা দাদু দাদু বলে ডুঁকরিয়ে কেঁদে উঠে।তাদের কান্নার শব্দ শুনে সবাই ছুটে আসে।হাই তুলতে তুলতে দুবউ এসে  কড়া ধমক দিয়ে বলে,

সাতসকালে এমন ছেচামেছি করছো কেনো?কী হয়েছে?

সিয়াম রোদন কোন কথা বলছে না।শুধু দাদু দাদু বলে কাঁদছে।তারা বুঝতে পারলো কিছু একটা হয়েছে।তখনি 

দু'বউ আর ছেলেরা দেখতে চাইল হাজেরা বেগমের কী হয়েছে ?

তখনি সিয়াম আর রোদন কড়া ধমক দিয়ে বলল,

তোমরা দাদুকে ছোঁবে না।তোমাদের জন্য আজ দাদু মারা গেছে।তোমাদেরকে পুলিশে দেব।আর একটা কথা,তোমরা যখন বুড়ো হবে,তখন আমরা ও তোমাদের সাথে এমন করব।দাদুকে যেমন খেতে পরতে দাওনি।দাদুকে "কাজের বুয়া" বানিয়ে রেখেছে।আমরা ও তোমাদেরকে তাই করব।

এতটুকুন বাচ্চার মুখে এমন কড়া কথা শুনে বাবা-মা লজ্জিত হলো।নিজেদের ভুল বুঝতে পারলো।বিবেকের জাগরন ঘটল।তারপর মৃত হাজেরা বেগমের পা ধরে ছেলে বউ সবাই কেঁদে কেঁদে নিজেদের ভুল স্বীকার করে মাফ চেয়ে নিলো।

Post a Comment

মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।

Previous Post Next Post

আপনিও লেখুন বর্ণপ্রপাতে

ছড়া-কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ( শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, লোকসাহিত্য, সংগীত, চলচ্চিত্র, দর্শন, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সমাজ, বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা ও প্রবন্ধ), উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী, গ্রন্থ ও সাহিত্য পত্রিকার আলোচনা ও সমালোচনা, চিঠি, সাহিত্যের খবর, ফটোগ্রাফি, চিত্রকলা, ভিডিও ইত্যাদি পাঠাতে পারবেন। ইমেইল bornopropat@gmail.com বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ।