ডাকপিয়ন ঘামাক্ত কায়ে লিপি হস্তে গুঁজে দিলেন।
দিবার আরম্ভ সবে; এতেই ঘর আঁধারে আবির্ভাব!
জুবুথুবু বৃদ্ধা হৃৎকম্পন; হস্তকম্পনে বহিঃপ্রকাশ ঘটালো॥
জড়সড় নাদে লিপি পাঠে মনোনিবেশ করলেন—
ঋতুচক্রের ঘোর বৃদ্ধা তোমার আয়ুষ্কালে!
জড়সড় ত্বক; বাক্ ; জুবুথুবু চলন,
এ সবের ঘোরে সাক্ষাৎ হবে আরেকটি বর্ষার সহিত!
জাহানের মনুষ্য বিলাসিতা উৎযাপনে মেতে উঠবে;
তুমি শেষ আব্দে সাক্ষাৎ দিবে কিশোরী আয়ুষ্কালে॥
বর্ষা মৌসুমে 'ব' অক্ষরে যাদের সম্মোর্ধনা জানানো হয়;
তাদের উন্নত গম্ভীর গোষ্ঠী বৃদ্ধদের বর্ষার প্রতি ক্ষোভ সৃষ্টি হয়॥
ঠিকানা বিহীন লিপি হস্তে থিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
বারি ঝর-ঝর ঝরলে বৃদ্ধা মনোনুভূতি ব্যাক্ত করলেন—
বর্ষার ইশক; কায়ের উষ্ণতা;
বলাহকে লোকাতিত অরুণ;
জানালার খিল স্পর্শে অর্ণব দর্শন;
কয়ে লেপ্টানো শীতল পবন;
সবই যৌবন প্রাপ্ত কিশোরীর প্রণয়!
ঋতুচক্রের বর্ষায় প্রণয়ের কমল নাদ অনুরক্তি!
বৈবাহিক আয়ুষ্কালে জাহানের সর্ব সুখ সংসারে।
দুই সন্তানের জননীর বর্ষার প্রণয় চিত্তগ্রাহী!
এমনই বর্ষায় বারি উৎযাপন বিরাজমান;
গগনে চমকপ্রদ সোনালী চাবুক; চিত্তে ডর খেলে গেলো!
মুহূর্তের গর্জনে আয়ুষ্কালের মাত্রার পরিবর্তন হলো।
আবিষ্কৃত হলাম শয্যাবস্থায়; শ্রবণ করলাম—
ইন্দ্রালয়ের যাত্রী দুই সন্তান এবঙ তাদের জনক॥
বৃদ্ধা হকচকিয়ে নিদ্রা হতে জাগ্রত হলে,
নিজেকে আবিষ্কার করেন—
ঝুম বারি ঝর ঝর দিবা মধ্যাহ্নে॥