সুতীব্র বৈশাখী দাবদাহে যখন সমস্ত প্রকৃতি হারায় তার স্নিগ্ধ কোমলতা,
ঠিক তখনই মৌসুমী বায়ুতে ডানা মেলে আসে বর্ষাকালের আগমনী বার্তা।
সমগ্র প্রাণীকুলকে শীতল অঝোর বারিধারায় পুনরায় করে সিক্ত,
প্রকৃতি হয় পুনরায় রজঃস্বলা তার অমৃত পরশে যা কিছু ছিল রিক্ত।
প্রখর তপন দাহে শুকিয়ে যাওয়া বৃক্ষরাজি জুড়ে নব পল্লবের সিঞ্চনে,
ধুলি ধুসরিত অকাল গোধূলি ধৌত আঁখি ধরে মেলি প্রভাত কিরণে।
যেন কত যুগের তৃষ্ণা নিবারণে মেঘমালার গভীরে করে অবগাহন,
ফুটিফাটা মাটির পাথরসম শুষ্কতায় বৃষ্টিধারায় জাগ্রত হয় প্রাণ।
চাষির মুখে হাসি হবে ফসল রাশি রাশি, শোধ হবে মহাজনের ঋণ,
চরাচর শস্যে যাবে ভরে সুখ ফিরবে চাষির ঘরে ভরপেট অন্ন গ্রহণ।
কাঁদা মেখে খেলবে শিশু দুর আকাশে হাসবেন যীশু রামধনুর রঙে,
মাঠঘাট ভরে যাবে সোনালী ধানে, দুলবে দক্ষিণা বায়ে আপন ঢঙে।
শ্রাবণী পূর্ণিমায় সচীমাতার আঙিনায় কে ও সোনা রঙ মেখে শরীরে?
ওরে রাখাল কে তুই যমুনার তীরে তোর বাঁশির সুরে দিস পাগল করে?
এই ঘোর বর্ষাকালেই সবাইকে বাঁচাতে মাথায় ধরেছিলি গোবর্ধনের ছাতা,
বুঝেছি কঠিন এক সত্য এই বর্ষাকালই সর্বশ্রেষ্ঠ ঋতু, সবার ত্রাতা।।