শূন্যতায় ছেয়ে আছে যতদূর দেখা যায়
ওর ভেতরেই পেতেছে কান্নার সংসার
ঘর ছেড়েছে ওরা আর একটা মজবুত ঘরের খোঁজে
সম্বল শুধু ঘাসের চাদর আর মনের ভেতরে বিদ্যাসাগরের দেখানো সেই দামোদরের অতলান্ত স্রোত
উৎসব এসেছে তবুও ফেরেনি ঘরে ওরা
বাড়ির খরকুটো আর যা কিছু আছে প্রতীক্ষায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে
না-ওরা ফিরতে রাজি নয় যতক্ষণ শর্তহীন সূর্যের আলো সামনে না দেখছে
অনেকেই বলছে সাথে থাকার কথা
কারা সাথে আছে--
সমস্ত মেঘই রাজার হাতে-গর্জায়,বর্ষন হয় না
অসুরনিধনের দশ অস্ত্র নেই ওদের হাতে
সবারই চোখেমুখে ত্রিশূল অহিংসার
সামনে ভেসে ওঠে রাস্তায় সীমাহীন জনস্রোতের ছবি
কতদিন হয়ে গেল খুঁজছে মাকে তন্ন তন্ন করে
এত নিষ্ঠুর, এত হৃদয়হীন মা ভাবতে ভাবতে রাতের আকাশে নেমে আসে গাঢ় অন্ধকার
শ্রীচৈতন্য ছেড়েছিল সংসার
ওরাও সন্তান সন্ততি ছেড়ে তাকিয়ে দেখছে কবে নির্বিঘ্ন হবে সূর্য
মৃত্যুর সাথে কোলাকুলিতে ওরা অঙ্গীকারবদ্ধ
তার আগে বাঁচার তীব্র আর্তনাদে যুদ্ধের সামনে
তাই ঘরে ফেরেনি এখনো ওরা
বাতাসের ভেতর শুনছে সানাইয়ের মধুর সুর
বিষাদ নয়,ওদের চোখেমুখে তীব্র আগুন
বনে গিয়েছিল রাম পিতৃসত্য পালনের অঙ্গীকারে
ওরা অহিংসার আসন নিয়ে ছেড়েছে ঘর গৃহস্থালি জীবনসত্যের অধিকারে
তাই এখনো ঘরে ফেরেনি ওরা
সত্য কতদূর দেখে ছাড়বেই --।