আমি এখন চল্লিশের চৌকাঠ পেরিয়ে
সাগর স্নানে এক বুক নোনা জলে দাঁড়িয়ে।
মাথার ওপর অনন্ত আকাশ
আর পা দুটো স্পর্শ করে আছে
নোনা মাটি।
আমি এক নারী বৃক্ষ।
সমারোহে বৃক্ষরোপণের উৎসব হয়নি সেদিন।
একটি বীজের কবরের উপরই আমার জন্ম।
জঠরের জাম কালো অন্ধকার সরিয়ে
যে দিন প্রথম আলো দেখেছিলাম,
মা বলে ডেকে উঠেছিলাম একগাল হেসে।
মাটির ভেতর থেকে একটা নারী কণ্ঠ।
আমি আছি।
বুঝে ছিলাম,
যে অন্ধকার ফুঁড়ে শুরু করে ছিলাম আমার যাত্রাপথ
মাত্র কয়েকটা স্টেশন পেরিয়ে
আমাকেও ঠাঁই নিতে হবে সেই অন্ধকারে
তবে তার আগে
আলোর স্পর্শে পাতায় পাতায় ঘটাতে হবে সালোকসংশ্লেষ।
বাতাসে অক্সিজেন নামক সঞ্জিবনী বিলিয়ে দিতে হবে বিনা শর্তে।
বিনিময়ে কার্বনডাইঅক্সাইড নামক বিষ ঢেলে দেবে আমার মুখে।
আমি নীলকন্ঠ হয়ে সেই গরল ধারণ করবো আমার কণ্ঠে।
কারণ আমি এক নারী বৃক্ষ!
নবগ্রাম, গঙ্গাজলঘাটি, বাঁকুড়া