ঘুম ভেঙে যায়;খিড়কি দিয়ে তাকায় মনের চোখ,
কাঁদছে বুঝি শরৎশশী, কীসের এতো শোক!
রাতের ডাহুক নিঃসঙ্গতায় কার যে কথা ভেবে--
দুঃখের নদী সাঁতরে বেড়ায়; উত্তর কেউ দেবে?
হাস্নাহেনাও মান করেছে; সুবাসে নাই মোহ,
গন্ধ-সুবাস ছড়াতে গিয়ে করে যায় বিদ্রোহ!
শিউলিতলা গালিচা পেতে কার প্রতীক্ষায় জাগি,
আসে না জন বিরহ-বেদন তাই করে ভাগাভাগি!
চোখ তুলে চায় রাতের আকাশ গোমড়ামুখো ভাব,
বিশালতার বুকেও আঁকে বিষাদ মনের ছাপ!
কান পেতে রই-- বাতাস শোনায় প্রিয় হারার গান,
সে গান শুনে শিউরে উঠি; স্তব্ধ দু'টি কান!
বাঁক ফিরে যাই নদীর কাছে শুনতে কোমল কথা,
আমায় দেখে ঢেউ থামিয়ে-- শান্ত নিরবতা!
সুধাই তাকে, শান্ত কেন? কোথায় কূলূ ধ্বনি?
বললো নদী, কোথায় কবি? কোথায় মধ্যমণি?
'মানুষ হয়েও মানুষ মারে'-- ভাবতে গিয়েও মরি,
দূর হয়ে যাও এখান থেকে, মানুষ তোরা! স্যরি!
আমার গানের কূলূ সুরে জুড়াইতো যাঁর প্রাণ,
কেবল আমি তাঁর কাছে পাই 'মানুষ মানুষ' ঘ্রাণ!
উত্তর নাই আমার মুখে; হারিয়ে গেল ভাষা--
কোথায় গেলে পাবো তাঁকে এমনই কোণঠাসা!
হতাশ দেখে আমায় রেখে চলছে একা ঢেউ,
আমার বুকে কী ঢেউ খেলে জানতো যদি কেউ?
দিবস বুঝে সবাই খুঁজে ব্যানার আঁকা শোক,
তুমিই বুঝো কেমন আছে তোমার এসব লোক।
আকাশ খোঁজে বাতাস খোঁজে তোমার প্রিয়মুখ,
তোমায় ছাড়া আজকে দেশের কী বড় অসুখ!
তোমায় ছাড়া কেউ ভালো নাই,রুদ্ধ জয়ের দ্বার,
মুজিব তুমি খোদা তা'য়ালার শ্রেষ্ঠ উপহার!
আজো তোমায় স্মরণ করি বুভুক্ষুদের দলে,
তুমি আছো,থাকবে তুমি খোদার আরশ তলে!
বর্তমান ঠিকানা: খালাশপীর, পীরগঞ্জ, রংপুর।
স্থায়ী ঠিকানা : কচাকাটা, নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম।