সূর্যের মতোই এক দৈত্যাকার নক্ষত্র আস্ত একটি গ্রহকে গিলে ফেলেছে ।। মুহাম্মদ আস্রাফুল আলম সোহেল


পৃথিবীতে একজন সবল ব্যক্তি প্রায়শঃ তার চেয়ে দুর্বলের প্রতি আধিপত্য বিস্তার করে নিজেকে পরাক্রমশালী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ৷ প্রকৃতির বাস্তুতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একটি সবল প্রাণী অপর একটি দুর্বল প্রাণীকে শিকার করে বেঁচে থাকে । এটি দুর্বলের প্রতি সবলের আগ্রাসন ৷ প্রকৃতিতে এক চিরাচরিত নিয়ম । ঠিক তেমনি মহাজাগতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রেও যে এমনটি ঘটে থাকে, এ বার হাতেনাতে তার প্রমাণ মিলেছে ।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এক যুগান্তকারী আবিষ্কার করেছেন ৷ বৃহস্পতি গ্রহের চেয়েও বড় একটি উত্তপ্ত ও গ্যাসীয় গ্রহকে গ্রাস করেছে এমন একটি দৈত্যাকার বৃদ্ধ নক্ষত্রকে তারা সনাক্ত করেছেন । সৌরজগতের বাইরে মহাশূন্যে গ্রহটিকে সূর্যের মতোই এক বিশালাকার নক্ষত্র তাকে একেবারে আস্ত গিলে খেয়েছে । এ ঘটনা দেখে বিজ্ঞানীরা স্তম্ভিত । একাধিক স্থল-ভিত্তিক মানমন্দিরে অবস্থিত অতি শক্তিশালী দূরবীক্ষণ যন্ত্র এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’ (NASA) কর্তৃক ২০০৯ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বরে চালু করা NEOWISE (Near-Earth Object Wide Field Infrared Survey Explorer) Infrared Astronomy Space দূরবীক্ষণ যন্ত্র থেকে চাঞ্চল্যকর এ বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যটি ধরা পড়েছে । ফলে আমাদের সবুজ গ্রহ পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নিয়ে এক অশনি সংকেত! গ্রহটি ২০২০ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে প্রথম আবিষ্কৃত হয় ৷ উল্লেখ্য যে: WISE নামে পরিচিত দূরবীক্ষণ যন্ত্রটি সমস্ত আকাশের মানচিত্র তৈরি করে যা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের দেখতে সক্ষম করে যে, কিভাবে মহাজাগতিক বস্তুগুলো সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয় এবং এটি দূরবর্তী মহাকাশের কিছু অস্পষ্ট ছায়াপথ, নক্ষত্র, গ্রহ, ধূমকেতু, গ্রহাণু ও বিভিন্ন বস্তুর চিত্রধারণসহ অবলোহিত আলোতে  মহাকাশকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে । যাই হোক, মহাকাশ বিজ্ঞানীরা চাক্ষুস এমন প্রমাণ পেয়ে উচ্ছ্বসিত হলেও পাশাপাশি তাদের কপালে দুঃশ্চিন্তারও ভাঁজ পড়েছে । কারণ বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন যে, আগামী ৫০০ কোটি বছরের মধ্যে সূর্যের জ্বালানি বা আয়ু শেষ হয়ে যাবে । ফলে তখন বুধ, শুক্র এবং পৃথিবীরও একই পরিণতি ঘটবে ৷ সৌরজগতের কেন্দ্রের খুব কাছের নক্ষত্রটি হচ্ছে সূর্য । মহাবিশ্বের সমস্ত নক্ষত্রের মতো সূর্যও একটি বিশাল পারমাণবিক চুল্লি, যা হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম গ্যাস দ্বারা গঠিত (প্লাজমা তথাপি আয়নিত পদার্থ) ৷ এছাড়া এর অন্যান্য গাঠনিক উপাদান হচ্ছে অক্সিজেন, কার্বন, নিয়ন এবং লৌহ ইত্যাদি ৷ নক্ষত্রের জ্বালানি হচ্ছে উদজান (Hydrogen) । সূর্যের কেন্দ্রে নিউক্লীয় সংযোজন বিক্রিয়ার মাধ্যমে অনবরত হাইড্রোজেন পুড়ে হিলিয়াম গ্যাস উৎপন্ন হচ্ছে ৷ পৃথিবী থেকে সূর্যের গড় দূরত্ব প্রায় ১৫২১০০০০০ কিলোমিটার বা ৯৪৫০০০০০ মাইল (আলোর গতিতে) । সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে সময় লাগে ০৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড । ফলে সূর্যালোকশক্তি পৃথিবীর জলবায়ু এবং আবহাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে প্রায় সকল জীবকে বাঁচিয়ে রাখে । সূর্যের কেন্দ্রভাগের (Core) ঘনত্ব ১৫০ গ্রাম / ঘনসেন্টিমিটার এবং তাপমাত্রা প্রায় ০১ কোটি ৩৬ লক্ষ Kelvin (~১৩.৬ MK ) ৷ যদিও ছটামণ্ডল বা সৌর করোনায় (Corona) তাপমাত্রা ০৫ MK এবং সূর্যপৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রায় ৫৭৮৫ Kelvin (৫৫০৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ।
সূর্য কেন্দ্রিক এ সৌরজগতের সবচেয়ে বৃহৎ গ্রহ বৃহস্পতির তুলনায় পৃথিবী আয়তনে অনেক ছোট ৷ তবে এক সময় সূর্য নামক নক্ষত্রটি রক্তলাল দানবে পরিণত হয়ে এর প্রভাব পৃথিবীর কক্ষপথ পর্যন্ত বিস্তৃত হবে এবং ভয়ঙ্করভাবে নিমেষেই পৃথিবীকে গিলে ফেলবে! এমনকি পুরো সৌরজগৎকেও ছিন্নভিন্ন করে ফেলতে পারে ৷ তখন সূর্যের উজ্জ্বলতা বহুগুণ বেড়ে যাবে এবং প্রচণ্ড ভয়াবহ উত্তাপে পৃথিবীতে আর কোনো প্রাণের অস্তিত্বই থাকবে না । চারপাশের সব কিছুই ছাই হয়ে যাবে । অর্থাৎ সমাপ্তি (The End) ৷ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে অনেক লাল দৈত্য নক্ষত্রকে শনাক্ত করেছেন ৷ তারা সন্দেহ করছেন যে, এ বিশাল মহাবিশ্বে সূর্যের মতো যতোগুলো নক্ষত্র আছে তাদের এক-তৃতীয়াংশ নক্ষত্রই সম্ভবত তাদের কাছাকাছি ঘিরে থাকা এক বা একাধিক গ্রহকে ‘গিলে খেয়েছে’ । কিন্তু ঘটনাটি আগে কখনো সরাসরি দেখা যায়নি । এবারই প্রথম সম্ভবপর হয়েছে ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেট্‌স অঙ্গরাজ্যের কেমব্রিজে অবস্থিত Massachusetts Institute of Technology (MIT) এর একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং এ গবেষণার প্রধান লেখক কিশালয় দে বলেন, “এ ধরণের ঘটনা কয়েক দশক ধরে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা কখনোই এ প্রক্রিয়াটি কিভাবে কার্যকর হয় তা পর্যবেক্ষণ করিনি ।” তবে প্রথমবারের মতো এমন একটি বিরল ও বিস্ময়কর ঘটনা খুঁজে পাওয়া সত্যিই উত্তেজনাপূর্ণ । জলন্ত অগ্নিপিণ্ড সূর্যকে কেন্দ্র করে আমাদের এ সৌরজগৎ গড়ে উঠেছে । অপার মহাশূন্যে এমন একাধিক সৌরজগতের অস্তিত্ব রয়েছে ।
পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ হাজার আলোকবর্ষ দূরে আকাশগঙ্গা ছায়াপথের (Milky Way Galaxy) চাকতিতে ঈগল-সদৃশ নক্ষত্রমণ্ডল অ্যাকিলার (Aquila) কাছে অবস্থিত ZTF SLRN-2020 নামক সূর্যের মতো নক্ষত্রটি এ তুলকালাম কাণ্ডটি ঘটিয়েছে । গ্রহখেকো এ নক্ষত্রটি আয়তনে প্রায় বৃহস্পতি গ্রহের চেয়েও বড় একটি উষ্ণ গ্যাসপূর্ণ গ্রহকে গিলে ফেলেছে (শুষে নিয়েছে)  ৷ সূর্য থেকে বুধ গ্রহের মধ্যে যে দূরত্ব তার চেয়েও কম দূরত্বে এ বহিঃসৌর গ্রহটি (Exoplanet) তার ঐ কেন্দ্রীয় নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছিল । কিন্তু সময়ের সাথে ক্রমেই নক্ষত্রটি তার দৈহিক রূপ পরিবর্তন করে ফুলে-ফেঁপে রক্তবর্ণ হয়ে উঠে এবং নাক্ষত্রীয় বায়ুমণ্ডলে নানা উপাদানকে উত্তপ্ত করে । চক্কর কাটতে থাকা গ্রহটির সাথে ধীরে ধীরে এর দূরত্ব কমতে থাকে ৷ নক্ষত্রের তীব্র মাধ্যাকর্ষণের কারণে এক সময় গ্রহটি একেবারেই নক্ষত্রটির সংস্পর্শে আসে ৷ মহাকাশে গ্রহের গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে ৷ হঠাৎ ঘূর্ণায়মান গ্রহটি বিস্ময়করভাবে নক্ষত্রটির তীব্র তাপে বাষ্পে পরিণত হয়ে অতল গহীনে হারিয়ে যায় । অবশেষে সেখানে অবশিষ্ট গ্যাস ঠান্ডা হয়ে ধুলোয় পরিণত হয়, যা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে দৃশ্যমান । এ অবস্থাকে বলা হয় নক্ষত্রের মধ্যে গ্রহের বিলীন হয়ে যাওয়া ।
প্রথমে বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছিলেন যে, বিষয়টি মহাশূন্যে নাক্ষত্রিক সংঘর্ষ কিংবা দুটি নক্ষত্র পরস্পরের সাথে মিশে যাওয়ার ঘটনা । হয়তোবা কোনো রাক্ষুসে হিংস্র কৃষ্ণহ্বরের আগ্রাসনে নক্ষত্রকে কামড়ে ছিঁড়ে খাওয়ার কোনো ঘটনা । যদিও এ ধরণের ঘটনায় মহাকাশে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার ঘটে থাকে । কিন্তু সেখানে শুধুমাত্র ধুলো অবশিষ্ট থাকার কারণে বিজ্ঞানীদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয় । তারা বিভিন্ন স্থানের কয়েকটি দূরবীক্ষণ যন্ত্র এবং কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ সিদ্ধান্তে উপণীত হন যে, আসলেই এটি ছিল একটি গ্রহকে গিলে খাওয়ার ঘটনা ৷ বর্ণালীবীক্ষণ পরীক্ষা দ্বারা মনে হয়, এমন অনেক মৌল আছে যা কেবল ঠান্ডা তাপমাত্রায় থাকতে পারে । নক্ষত্রটিতে প্রচুর পরিমাণে লিথিয়াম ধাতু রয়েছে ৷ লিথিয়াম হচ্ছে আদি ধাতু বা প্রাথমিক মৌল ৷ প্রায় পৌনে চৌদ্দশত কোটি বছর পূর্বে ভয়ঙ্কর মহাবিস্ফোরণের (Big Bank) সময় এ বিরল ধাতুর উৎপত্তি হয়েছে ৷ লিথিয়াম খুব সহজেই নক্ষত্রের মধ্যে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় ৷ কিন্তু এ বয়স্ক নক্ষত্রে অস্বাভাবিক পরিমাণে লিথিয়ামের উপস্থিতি বিজ্ঞানীদেরকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে ৷ ধারণা করা হয়, সম্ভবত ঐ বিশাল ভরের গ্রহটিকে গিলে ফেলার সময় নক্ষত্রটির অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে নতুন করে প্রচুর পরিমাণে লিথিয়াম উৎপাদন করেছে ৷ অর্থাৎ ঐ গ্রহ থেকেই মৌলটি নক্ষত্রে এসেছে ৷ সবচেয়ে উত্তপ্ত নক্ষত্রগুলোতে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক উপাদান থাকে । সূর্যের মতো নক্ষত্রগুলোতেও জন্মের সময়ই প্রচুর পরিমাণ লিথিয়ামের উপস্থিতি ছিল ৷ কিন্তু ধারণা করা হয় মহাবিস্ফোরণের পর প্রথম ১০ কোটি বছরেই তা পুড়ে শেষ হয়েছে । মহাবিশ্বে প্রতিনিয়তই এমন কিছু ঘটনা ঘটে থাকে যা মানুষের পক্ষে পুরোপুরি বোঝা সম্ভব নয় । জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলেন যে, রাক্ষুসে নক্ষত্রটি বার্ধক্যে পৌঁছে গিয়েছে । নক্ষত্রটি সূর্যের ভরের প্রায় ০.৮ থেকে ১.৫ গুণের মধ্যে এবং এটি তার জীবনের শেষ পর্যায়ের শুরুতে রয়েছে–  এর লাল দৈত্য পর্যায়, যা ১০০০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলতে পারে । এর আভ্যন্তরীণ জ্বালানি শেষ হওয়ার কারণে এটি ফুলে-ফেঁপে দৈহিক রূপ পরিবর্তন করে উজ্জ্বল থেকে আরো উজ্জ্বলতর হয়ে উঠেছে ৷ স্বাভাবিক আকৃতির চেয়ে প্রায় ১০ লক্ষ গুণ বেশি বড় হয়ে মাত্র ১০ দিনের মধ্যেই কয়েকশ গুণ বেশি উজ্জ্বল হয়ে উঠে । প্রবল বিচ্ছুরণ শুরু হয় । নক্ষত্রের তীব্র মাধ্যাকর্ষণের টানে গ্রহটি কাছাকাছি এসে পড়ায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে নক্ষত্রটির গর্ভে চলে গিয়ে এর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে ৷ এ ঘটনাটি আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জেডটিএফ এসএলআরএন-২০২০’ নামে পরিচিত ৷
সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণগুলোতে দেখা যায় যে, নক্ষত্রটি গ্রহের সাথে একত্রিত হওয়ার আগে এর আকার এবং উজ্জ্বলতায় ফিরে (পরিবর্তন) এসেছে । যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের পাসাডেনায় অবস্থিত একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় California Institute of Technology (CIT / Caltech) নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মহাকাশবিষয়ক জরিপ সংস্থা Zwicky Transient Facility (ZTF) এর দ্বারা পর্যবেক্ষণে গ্রহটির মৃত্যুর পর আলোকিক আলোর ঝলকানি (মানুষের চোখে দৃশ্যমান) দেখা গেছে ৷ ভারতীয় তরুণ বাঙালি বিজ্ঞানী, জ্যোতির্পদার্থবিদ, পোস্ট ডক্টরাল গবেষক এবং এ গবেষণার প্রধান লেখক কিশলয় দে এর নেতৃত্বে গবেষণাটিতে রয়েছেন Massachusetts Institute of Technology (MIT), Harvard University, California Institute of Technology (CIT / Caltech) সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিশিষ্ট বিজ্ঞানীরা ৷ কিশলয় দে ‘নাসা’ এর আইনস্টাইন পোস্টডক্টরাল ফেলো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা নিয়ে গবেষণা করছেন । গত ০৩রা মে ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা বিষয়ক সাময়িকী নেচার ও লেটারস অনলাইনে এর তথ্য-প্রমাণ প্রকাশিত হয়েছে ।

*তথ্যসূত্র: https://www.nasa.gov/ , অন্তর্জাল (The Internet) ।

* ছবি: https://www.nasa.gov/ [Credits: R. Hurt & K. Miller (Caltech/IPAC)] ।

Post a Comment

মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।

Previous Post Next Post

আপনিও লেখুন বর্ণপ্রপাতে

ছড়া-কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ ( শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, লোকসাহিত্য, সংগীত, চলচ্চিত্র, দর্শন, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সমাজ, বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা ও প্রবন্ধ), উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী, গ্রন্থ ও সাহিত্য পত্রিকার আলোচনা ও সমালোচনা, চিঠি, সাহিত্যের খবর, ফটোগ্রাফি, চিত্রকলা, ভিডিও ইত্যাদি পাঠাতে পারবেন। ইমেইল bornopropat@gmail.com বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। ধন্যবাদ।