বাংলা নববর্ষ। বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব। বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও জাতিসত্তার প্রতীকী উপস্থাপনা। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এই দিনে প্রাণে জাগায় নতুন স্পন্দন।
চৈত্রের শেষে বৈশাখের প্রথম দিনে সূর্য উদয়ের সাথে সাথে শুরু হয়ে যায় বাঙালির এই প্রিয় উৎসব। এই দিনটাকে কেন্দ্র করে গ্রামে গ্রামে বসে মেলা। মেলাকে কেন্দ্র করে বাঙালিয়ানার এক অভিনব উপস্থাপন প্রাণে জোগায় মহা আনন্দ।
হা-ডু-ডু খেলার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, লাঠি খেলার টানটান উত্তেজনা, জারি-সারি গানে মন মাতানো সুরে হারিয়ে যায় বাঙালি তেপান্তরে! হালখাতায় হাসি ফুটে ক্রেতা-বিক্রেতার। সেই সাথে নতুন ধানের গন্ধে ভরে যায় চাষীমন। করোনার করাল গ্রাসে বাঙালি জনজীবন বিপন্ন, মলিনমুখে বরণ নববর্ষ।
একদিন এই করোনা হেরে যাবে, মুছে যাবে ধরা থেকে। আমরা মুছে ফেলে সকল জরা-গ্লানি; শোক-তাপ-বেদনা-আক্ষেপ বস্তাবন্ধি করে কবর দিয়ে একদিন নতুন করে প্রাণে জাগবে প্রাণের উচ্ছ্বাস।
বর্ণপ্রপাত সকল লেখক-পাঠককে নিয়ে এগিয়ে যেতে যায় এক অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাঙালি গড়তে। জয় হউক বাঙালির। শুভ নববর্ষ।