বেশ্যার খোঁপার রজনিগন্ধা ।। মতিয়ারা মুক্তা



বেশ্যার ঘরে বসে পাপ পূণ্যের হিসেব টুকি।

দু’ইঞ্চি জমির দাম নিলামে ডেকে 
কি তার প্রার্থনা, কি তার সুখ আহা!
দেহের ভাঁজে ভাঁজে সুখ 
         একই দেহে পাপ একই দেহে পূণ্যি।

শুভ্র সাদা কাপড়ে একফোঁটা কলঙ্ক লেপটে
সমাজে প্রেম বিকি অতঃপর সমাজের চিত্র। 

একটা শরীর!
কিংবা একটাই মন! 

নোনা ঘামে বেরিয়ে আসে হাহাকার চিৎকার, 
আকাশ-বাতাস ভারী, ভারী হয় শরীর-মন আপাদমস্তক!
সততা এখানে নিষিদ্ধ গন্ধম, প্রেম হয় দাফনÑ 
বেশ্যার চুমুতে আমি সেখানে সতীত্ব প্রাপ্তির উল্লাসে মাতি, 
আতশবাজি ফানুসে ভরিয়ে দেই নিষিদ্ধপল্লী।

সভ্য জাতী যেখানে পলাতক...
রাতের আধারে সুখের নামে ঢেলে দেয় সর্বস্ব...
অথচ দিনের আলোতে তারাই 
বেশ্যা নামে ছি!ছি! স্লোগানে মুখরিত করে সমাজের মঞ্চÑ 
সেই মঞ্চে নেতৃত্ব দেই আমি।

আমি বেশ্যাদের সাথে মিশে শুভ্র হতে চেয়েছি 
হতে চেয়েছি উল্লাসিত, আন্দোলিত 
কাপড় খোলার সমাজে মন খুলে হতে চেয়েছি এবং হয়েছি
         “বেশ্যার খোঁপার রজনিগন্ধা” 




মতিয়ারা মুক্তা। কবি ও সংগঠক হিসাবে “মাটির মা” নামেই দুই বাংলায় পরিচিত। পিতা রুহুল আমিন, মাতা আনোয়ারা বেগম, শালিয়াবহ, পেচারআটা, ঘাটাইল, টাঙ্গাইল। বাংলায় স্নাতকের (সম্মান) শিক্ষার্থী।

স্কুল জীবন থেকেই লেখালেখি পছন্দ। বড়ভাই গীতিকার আনোয়ার হোসেনের অনুপ্রেরণায় লেখালেখির হাতে খড়ি। এপর্যন্ত প্রকাশিত একক গ্রন্থ সংখ্যা ৮ টি এবং যৌথভাবে ৮০টিরও উপরে এবং সম্পাদিত গ্রন্থ ২৩টি। এছাড়াও তার সম্পাদনায় নিয়মিত প্রকাশিত হয় ম্যাগাজিন “মায়ের ঘর” এবং মাসিক সাহিত্য পত্রিকা “মায়ের ঘর”।

Post a Comment

মন্তব্য বিষয়ক দায়ভার মন্তব্যকারীর। সম্পাদক কোন দায় বহন করবে না।

Previous Post Next Post