এসেছি সেই গ্রামে যাকে ঘিরে রেখেছে নদী;
যেথা ব্রহ্মপুত্রের জলের ধারা বইছে নিরবধি;
যেথা আষাঢ়ের মৃদু বাদল দিনে বন্যার বার্তা মেলে,
রাস্তা অবধী ডুবো-ডুবো ব্রহ্মপুত্রের জলে।
অভাব অনটন রোগ-জড়া হাতছানি দিয়ে ডাকে,
নানান রকম বিপদ-আপদ ওঁৎপেতে যেন থাকে।
চলাচলের অবস্থার কথা কি বলব কবিতায়;
ভেলা-নৌকা ছাড়া কোন আর দেখিনা উপায় ।
যেদিকে তাকাই সেদিকে পানি উঠোনে স্রোতের টান!
স্বাভাবিক জীবনে যেটা বড্ড বেমানান;
এই গ্রামের মানুষ গুলো নিয়েছে এটা মেনে
দিনাতিপাত করছে তবু নিয়তির খেলা জেনে ।
আষাঢ় থেকে আশ্বিন-কার্তিক সুদীর্ঘ পাঁচটি মাস,
দৃষ্টি সবার স্রোতের উপর মুখে দীর্ঘশ্বাস;
কর্ম হীন গৃহ বন্দী যারা কৃষি নির্ভর শীল!
কষ্ট’রা এসে ওদের পিঠে মারছে জোড়ে কিল!
শিক্ষালয়ের তথ্য কিছু এবার সবাই জানি ,
বন্যা এলেই শ্রেণি কক্ষে কোমর সমান পানি।
লেখাপড়া মাচায় তোলা, বস্তা বন্দী বই-
দেখুন জনাব, হেথায় এসে, মিথ্যে যদি কই ;
ঠিকানা তবে দিচ্ছি ভাই ,কোনখানে সেই গ্রাম?
বাংলা-ভারত বর্ডার ঘেষা ইটালুকান্দা নাম।
দাঁতভাঙ্গা ইউ নিয়নে উপজেলা রৌমারি,
কুড়িগ্রাম জেলার অন্তর্গত দিলাম ছন্দ করি।
আশরাফুল আলম
পাঁচপীর, উলিপুর, কুড়িগ্রাম।