মধুর ডাক মা জননী
মধুর ডাক মা জননী
তৃপ্তি আসে মনে,
যতই বলি ভালো লাগে
ডাকি ক্ষণে ক্ষণে।
যতই ব্যথা আসুক মনে
ডাকি যে শুধু মা,
সুখের পরশ পাই খুঁজে
তুমি শ্রেষ্ঠ উপমা।
মা জননী তোমার মতো
আর কেহ নাই,
তোমার কুলে শান্তি যত
আমি খুঁজে পাই।
মা জননীর মনটা যেনো
স্নেহ,মমতা ভরা,
সকল সুখের পরশ দিয়ে
মায়ের মনটা গড়া।
বড্ড শীতে খোকন সোনা
বড্ড শীতে খোকন সোনা
থাকে খালি গায়ে,
সকাল সকাল ঘুম ভাঙ্গে
হাঁটে খালি পায়ে।
মায়ে ডাকে খোকন সোনা
শীতের কাপড় পড়ো,
নইলে তোমার ঠান্ডা পাবে
বসে থাকো ঘরো।
চুলার পাশে আগুন পোহাতে
একটু খোকন আসো,
বাপা,চিতল খেতে দেবো
মায়ের কাছে বসো।
অবহেলা কাটে শীত
ফুটপাতে থাকে যারা
শীত কেমন কাটে,
তাদের খবর নেয় না কেউ
বস্ত্র নাহি জোটে।
শিশির ভেজা ঠান্ডা মেঝে
নিদ্রা নাহি আসে,
তাদের অবহেলা কাটে শীত
পৌষ মাঘ মাসে।
কম্বল কাঁথা নাই যে তাদের
কষ্টে কাটে রাত,
ছেঁড়া চাদরে মুখ লুকিয়ে
নতুন ভোরের প্রভাত।
শীতে ফাটে তাদের হাত-পা
মলিন থাকে মুখ,
কুয়াশা ভেজা জীবন তাদের
শীতে কাপে বুক।
চারদিকে শীত
চারদিকে শীত পড়েছে
ঠান্ডা হিমেল বাতাস,
ঘন সাদা তুষার ঝড়ে
কালো মেঘের আকাশ।
কানটুপি মাথায় পড়ে
মোজা হাত পায়ে,
তবুও বড্ড শীত লাগে
চাদর খানি গায়ে।
ঘন কুয়াশা ডেকে গেছে
সূর্যের কিরণ আলো,
খড়কুটোর আগুন জ্বেলে
পোহাই সবে চলো।
হলদে পাখির ছানা
পাখির বাসায় ডিম ফুটেছে
হলদে পাখির ছানা,
মা পাখিটা নেই যে কাছে
আনতে কিসের মানা।
মা পাখিটা খাবার খুঁজে
হিজল পাতার তলে,
ছোট ছোট ছানা দুটো
হেঁটে হেঁটে চলে।
কিচিরমিচির ডাকে ছানা
একটু একটু উড়ে,
মায়ের ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে
নেয় যে খাবার কুঁড়ে।
গোলাপ মাহমুদ সৌরভ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাঞ্ছারামপুর।