হামিদুল ইসলামের জন্ম ৫ মার্চ ১৯৫৫ সাল। গ্রাম+পোষ্ট : কুমারগঞ্জ, জেলা=দক্ষিণ দিনাজপুর, পশ্চিম বঙ্গ, ভারত। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ও ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর। পনেরো বছর বয়সে স্কুল ম্যাগাজিনে প্রথম কবিতা প্রকাশ। এখন পর্যন্ত প্রকাশ হয়েছে সাতটি কাব্যগ্রন্থ। ত্রিশটি যৌথ কাব্য সংকলন। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখালেখি। জীবনের শেষ ক'টা দিন লিখে যেতে চান তিনি।
শব্দ দিয়ে শব্দ সাজাই
জীবন সাজাই আকাশ ও রামধনু রঙে
বিবর্ণ বেদনাগুলো একে একে জন্ম দেয় নিরেট পাথর
বিষন্নতার প্রান্তরে সূর্য উদয়।
এলোকেশী ভাবনারা ভাঙে গড়ে
উৎসমুখে কবরী হাওয়ায় মিশে যায় পলল শৈশব।
মনের আকাশে প্রতিদিন ডুবে যায়
ডুবে যায়
ডুবে যায় মরা চাঁদ।
মন্দির ফাঁকা
মসজিদ ফাঁকা
গির্জায় যিশুর জীবন্ত লাশ
নীলাকাশে পাখিদের ঠোঁটে মৃত্যু ভৈরব।
জীবন যুদ্ধে নিঃস্ব জন্মভূমি
তাল বেতালে ভরে ওঠে আরশিনগর।
সমুদ্রে নামি
হাঁটুজল
রাতের আঁধারে পেরিয়ে যাই কবর বাড়ি।
প্রিয়ার হাতে হাত রাখি
ছুঁয়ে দেখি জীবন
ঘোর সমুদ্রে জাহাজডুবি
নিখোঁজ প্রিয়া
বেসামাল সমুদ্র।
জলের গভীরে গুমরে গুমরে কান্নার আওয়াজ
প্রিয়ার কণ্ঠ।
ডাকি তাকে
নিঃশব্দ সমুদ্র
নীরব আকাশ
জলের মাঝে কেবল একটানা হাহাকার।
২০/০৫/২০২১ খ্রি.